১১১ বছর পরেও টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার স্মৃতি আমাদের ভারাক্রান্ত করে। সম্প্রতি ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ নামক একটি জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম পেজ জাহাজটির বিভিন্ন ক্লাসে পরিবেশিত মেন্যুর ছবি প্রকাশ করেছে। প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির মেন্যুর মধ্যে দৃশ্যমান বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।
চিকেন, বেকড ফিশ, স্প্রিং ল্যাম্ব, মাটন, রোস্ট করা টার্কি, পুডিংসহ দুর্দান্ত সব খাবারের আয়োজন ছিল বিলাসবহুল জাহাজটিতে। দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের পছন্দের আইটেম ছিল পুডিং।
প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ছিল এলাহি সব খাবারের ব্যবস্থা। কর্নড বিফ, সবজি, ডাম্পলিংস, গ্রিলড মাটন, চিংড়ি, কাস্টার্ড পুডিং, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস এবং বিভিন্ন ধরনের পনিরের আইটেম পরিবেশন করা হতো প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য। অন্যদিকে তৃতীয় শ্রেণির প্রাতঃরাশ এবং রাতের খাবার ছিল সীমিত। সেখানে শুধুমাত্র ওটমিল পোরিজ এবং দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম এবং ডিম, ব্রেড ও মাখন, মার্মালেড এবং সুইডিশ রুটি ছিল।
তবে যে শ্রেণিরই হোক, টাইটানিকের খাবারের মান ছিল উচ্চ পর্যায়ের। ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ বলছে, জাহাজে যাত্রীদের মুগ্ধ করতে খাবার ব্যবস্থার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
উল্লেখ্য, আরএমএস টাইটানিক ছিল একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহী জাহাজ যা সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় ১২ এপ্রিল ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এই বিপর্যয়ের ফলে ১৫০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল, যা আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সামুদ্রিক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি।