আমরা খাবারের মধ্য দিয়ে যে পুষ্টি গ্রহণ করি তা হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নেমা এল্ডারকেয়ারের ডাক্তার চেতনার জানান, শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান হচ্ছে - ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন। এসব উপাদান হাড়ের ভারসাম্য তৈরি এবং বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১। ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রাথমিক উপাদান এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখার জন্য এটি অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ছাড়া হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। দুগ্ধজাত দ্রব্য (দুধ, দই, পনির), সবুজ শাক সবজি (ব্রোকলি, পালং শাক) ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। আপনার বয়সের উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ১০০০-১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় শরীরের।
২। ভিটামিন ডি
শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ ভিটামিন ডি-এর উপর নির্ভর করে৷ ভিটামিন ডি অপর্যাপ্ত থাকলে হাড় ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। সূর্যের আলো, তৈলাক্ত মাছ, কমলার রস এবং সিরিয়াল জাতীয় খাবার ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস।
৩। ভিটামিন কে
ভিটামিন কে সুস্থ হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন কে পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ স্যামনে। এছাড়া ব্রোকলি, পালং শাক এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতেও প্রচুর পরিমাণে মেলে ভিটামিনটি।
৪। ম্যাগনেসিয়াম
হাড় শক্তিশালী রাখার জন্য ম্যাগনেসিয়াম জরুরি। ম্যাগনেসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎসের মধ্যে রয়েছে বাদাম, বীজ, গোটা শস্য, শাক-সবজি এবং লেবু।
৫। প্রোটিন
পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করর পাশাপাশি হাড়ের শক্তি বজায় রাখার জন্য প্রোটিন প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত প্রোটিন হাড় পুনর্গঠন এবং মেরামতে সাহায্য করতে পারে.। সামগ্রিক হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দুগ্ধজাতীয় খাবার, হাঁস, মাছ, মটরশুঁটির মতো চর্বিহীন প্রোটিন খান।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া