শুধু যে রূপচর্চাতেই অ্যালোভেরা অতুলনীয় তা নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্যও জাদুকরী এই ভেষজের রয়েছে অবদান। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে হজমশক্তি ও হাইড্রেশন বাড়ে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তিশালী করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে। জেনে নিন অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ভেষজ। ক্যালোরি-বার্ন যৌগগুলোর কারণে বিপাককে দ্রুত করে অ্যালোভেরা। এতে থাকা ডিটক্সিফাইং গুণ অন্ত্রকে পরিষ্কার করতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলেও নিয়মিত খান অ্যালোভেরার রস। এর রেচক বৈশিষ্ট্য দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
- কেবলমাত্র ভিটামিন ডি ছাড়া বাকি প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় অ্যালোভেরা থেকে। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পানের বিকল্প নেই।
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে অ্যালোভেরা। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ফলে পরিষ্কার, ব্রণমুক্ত ত্বক পাওয়া সম্ভব হয়। অ্যালোভেরা তার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যের জন্যও পরিচিত যা ত্বককে বলিরেখামুক্ত, কোমল এবং নরম রাখতে পারে। অ্যালোতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কালো দাগ কমাতে পারে।
- অ্যালোভেরার রস অন্ত্রের নিরাময় এবং হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য দুর্দান্ত। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার প্রাকৃতিক প্রতিকার হতে পারে অ্যালোভেরা। এতে থাকা শক্তিশালী এনজাইমগুলো চর্বি এবং শর্করা ভেঙে কাজ করে, যা খাদ্য থেকে পুষ্টির শোষণ বাড়াতেও সাহায্য করে।
- হাইড্রেশন বাড়ায় অ্যালোভেরার জুস। গরম আবহাওয়ায় কাজ করলে অ্যালোভেরার রস খান নিয়মিত। ইলেক্ট্রোলাইট জন্য এটি দুর্দান্ত। অ্যালোভেরার জুস পান করলেও ওয়ার্কআউটের সময় থাকতে পারবেন সতেজ।
- সমীক্ষা বলছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা নিশ্চিন্তে এই রস পান করতে পারেন। এতে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার পরিমাণ।
- প্রায়শই অসুস্থতা কাবু করে ফেলছে? প্রতিদিন অ্যালোভেরার রস খান। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এর জুড়ি নেই। ভিটামিন সি, বি ১২ এবং ই সমৃদ্ধ অ্যালোভেরাতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিডও। এই অ্যাসিড অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করতে পারে। পাশাপাশি বাড়াতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
যেভাবে বানাবেন অ্যালোভেরা জুস
পাতার কিছুটা অংশ কেটে নিন। তারপর ওপরের সবুজ অংশ সরিয়ে চামচ দিয়ে বের করে নিন জেল। হলদেটে আঠা যেন না থাকে। এবার জেল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ডাবের পানি বা নরমাল পানির মধ্যে দিয়ে, অল্প মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে পছন্দের ফলের রসও মেশাতে পারেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি