প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজের চমৎকার উৎস মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এই বীজে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ও আঁশ থাকে। প্রতিদিন মাত্র এক টেবিল চামচ বীজ সুস্থতায় দারুণ অবদান রাখতে পারে। জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কোন কোন উপকার মিলবে।
- কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদযন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এর অর্থ উপকারী এই বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কুমড়োর বীজে ট্রিপটোফ্যান থাকে, এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এগুলো শরীরের প্রাকৃতিক ঘুমের হরমোন। ঘুমানোর আগে এক টেবিল চামচ কুমড়ার বীজ খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে। এছাড়া ম্যাগনেসিয়া পেশী এবং স্নায়ুকে আরও শিথিল করে, ফল ঘুম ভালো হয়।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ। জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে, যা স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী রাখে। বিশেষ করে জিংক স্নায়ু সংকেত এবং মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালে করা একটি গবেষণা বলছে, মিষ্টি কুমড়ার বীজ নিয়মিত খেলে মনোযোগ বাড়ে। এমনকি আলঝাইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে ছোট্ট এই বীজ।
- কুমড়ার বীজে রয়েছে স্কোয়ালিন এবং ভিটামিন ই, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এই বীজ জিংকের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা ব্রণ প্রতিরোধ করতে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
- প্রতিদিন এই বীজ খেলে শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মিষ্টি কুমড়ার বীজ জিংক এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। জিংক ক্ষত নিরাময়ে এবং ঠান্ডা লাগার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখে।
- অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী কুমড়ার বীজ। এতে ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রাকৃতিক অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষতিকারক অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবএমডি