X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
জন্মদিনে

শামীম রেজার গোলকধাঁধা

হামীম কামরুল হক
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০২আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০২

কবি শামীম রেজা—এটা শামীমের প্রথম ও শেষ পরিচয়—বাংলাদেশে নব্বই দশকের সাহিত্যজগতের এক অনিবার্য নাম। অতি অল্প বয়সে সাহিত্য সম্পাদক হওয়ার সুবাদে বিপুল পরিমাণ তরুণ লেখক ও কবির সঙ্গে তার যোগ। এই যোগের সূত্রে তৈরি হয়েছে নিজের একটি সাহিত্যবলয়। শামীম রেজা সেই অর্থে বাংলাদেশের সাহিত্যজগতে একটা সময়ের নামপুরুষ—বাংলাদেশের সংবাদপত্রজগতের খোলনলচে পালটে দেওয়া দৈনিক পত্রিকা ‘আজকের কাগজে’র সাহিত্য সম্পাদক, ‘সুর্বণরেখা’ নামের সাহিত্য সাময়িকী ও ঈদসংখ্যায় বহু তরুণ লেখকের সাহসী ও নিরীক্ষামূলক লেখা অবলীলায় ছাপিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়ার মানুষের নাম।

১৯৯৩-৯৪ সাল থেকে ধরলে ৩০ বছর পার হয়ে গেছে শামীম রেজাকে চেনা ও জানার। আমরা দুজনে একদম দুপ্রান্তের মানুষ। সে কবি আর আমি গদ্য লিখি। সে নিয়মের তেমন ধার ধারে না, আমি নিয়ম ছাড়া চলতে পারি না। নানান রকমের দায়িত্বে থাকায় সে কয়েকশ মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা করেছে—দেশে কি বিদেশে! বহু মানুষের উপকার করেছে।

শামীমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে জুড়ে আছি। আমাদের এই যুথবদ্ধতা কেবল ইতিবাচক দিকে। আজেবাজে কাজ থেকে আমরা দুজনেই নিরাপদ দূরত্বে থাকার চেষ্টা করি। আমাদের মূল কাজ বা সাধনা যাই বলি, তা : লেখা ও পড়া। শামীম এর সঙ্গে বাড়তি জুড়ে নিয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক দায় ও দায়িত্ব।

গত বছর কলকাতার দে’জ পাবলিশিং থেকে মর্যাদাপূর্ণ শ্রেষ্ঠ কবিতা সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে ‘শামীম রেজার শ্রেষ্ঠ কবিতা’। এটি কেবল শামীম রেজার জন্যই নয়, আমাদের কবি বন্ধুদের জন্যও আনন্দের ও ঈর্ষাণীয় অর্জন।

শামীম বাংলাদেশের ষাট থেকে শূন্য দশকের অনেক কবিকে লেখায় ফেরানোর কাজটাও করেছে দারুণ উদারতার সঙ্গে। এ দিকে শামীম রেজা বিকল্পহীন সম্পাদক। সেইসঙ্গে পাড়ি দিয়েছে নিজের কবিতা নিয়েও ঝুঁকিবহুল পথ। ‘পাথরচিত্রে নদীকথা’ থেকে ‘দেশহীন মানুষের দেশ’ হয়ে শামীম পৌঁছেছে ‘চর্যাধুনিক’কে। ‘হৃদয়লিপি’ থেকে নিজেকে ভেঙে গড়েছে। নিজেকে বারবার ভাঙাগড়ার কাজটি কখনও থামায়নি।

শামীম আধুনিকতাবাদীদের মতো কবিতা লিখতে চায়নি। নিজের কবিতার অস্থিমজ্জায় বইয়ে দিতে চেয়েছে প্রাচীন বাংলা ও প্রাচ্যের ধ্রুপদীরক্তধারা। ফলে শামীমের কবিতাকে পড়তে হলে বাংলা ও প্রাচ্যের ইতিহাস, পুরাণ ও বাকপ্রতিমার দিকে নজর দিতে হয়। একইসঙ্গে মরমি ও বস্তুবাদী টানের সমন্বয় যেমন আছে, মনে পড়তে পারে, ‘আল্লার ভাষা আরবি, ভগবান সংস্কৃতে লেখেন/বাংলা যে দলিত ভাষা, শুনে ঈশ্বর মুচকি হাসেন’-এর মতো কথা; তেমনই আছে পশ্চিমি কাব্যঘরানার বিপরীতে নিজের বাংলা ঘরানা নির্মাণের প্রখর তাড়না। নিজের এই গুণের কারণে শামীমের কবিতা আলাদা হয়েছে শব্দ ব্যবহারে চিত্রকল্পের বিচিত্র নবনিরীক্ষায়।

ছন্দকে জেনে ও ভেঙে ভেঙে পথ চলতে গিয়ে শামীমের কবিতার পাঠ ও পুনর্পাঠ অনিবার্য হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও নারীজীবনের বেদনাকে শামীম দেখেছে এক পুরুষোত্তমের জায়গা থেকে। এক প্রবল পৌরুষ তার কবিতায় ফিরে ফিরে আসে। সেখানে নারীকে মুক্ত করে দিলেও গভীর প্রেমানূভব মিশে থাকে সেই মুক্ত হওয়ায় ধাবিত হওয়া নারীর প্রতি। গভীর এক ভালোবাসা, বলা যায় অধরা ভালোবাসার সন্ধান—একদম শুরু থেকে শামীমের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য। যদিও এই ভালোবাসা ঠিক ইহজাগতিক নয়, পারলৌকিকও নয়, আবার মহাজাগতিকও নয়—এই পৃথিবীর প্রতি এটিকে আমরা শামীম রেজা একান্ত শামীমীয় প্রেমই বলতে পারি। যেখানে তার মধুসূদনের সঙ্গে মিলতে গিয়েও মেলে না, মেলে না রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে, জীবনানন্দের প্রকৃতিঘন নিবিড় নাস্তি আর শূন্যতার সঙ্গে মিলবে না শামীমের। সমর সেন, অরুণ মিত্র, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ এবং ষাটের কবিদের থেকে তার কবিতা দূরবর্তী হয়ে আধুনিকতাবাদের প্রশ্নে। আধুনিকতাবাদ নয়, শামীম তার কবিতা আধুনিক হতে চেয়েছে সময়ের যেকোনো ধারায়। সেটি আজ থেকে কয়েক শ বা হাজার বছর পরও তার প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধারণ করার মাধ্যমে।

নতুন রকমের ছোটোগল্প ও উপন্যাস লেখার ঝোঁকও তার প্রবলভাবে সৃষ্টি হয়েছিল; কারণ কারো ছোটোগল্প ও কবিতা তাকে তৃপ্ত করছিল না। আসলে যেকোনো লেখকের নিজের সৃজনবেদনা সবসময় ভিন্ন পথে এগিয়ে যায়। তার সঙ্গে তালমেলানো ভিন্নদের হয়ে ওঠে না। এটা সবসময় যার যার পথ ধরে চলে। একজনের জুতার মাপ যেমন আরেক জনের পায়ে খাপ খায় না। তদুপরি শামীম রেজার লেখা বিষয়টি একদম নিজস্ব হস্তরেখায় পরস্থ মানচিত্রের আঁকার তাড়না। কারণ লেখক কবি নিজের কথাকে আসলে সকলের কথা করে তোলে। নিজের লেখায় সবখানে সে থাকে, কিন্তু কোথাও তাকে দেখা যায় না। উপন্যাস নিয়ে গুস্তাফ ফ্লবেয়ার এইরকম একটি কথা শামীমের কবিতার বা সাহিত্যচর্চার বেলায় মনে হচ্ছে এজন্য যে, কবিতায় ‘আমি’ নিয়ে শামীম রেজা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা ভাস্কর চক্রবর্তীদের মতো ‘নিজ-লগ্ন’ নয়।

পর ও অপরের লীলাটকে ধারণ ও ধরতে চাওয়ার প্রয়াস শামীমের কবিতায়, গল্পে বা উপন্যাসে কাজ করে। ফলে যে ইতিহাস নিয়ে সম্প্রতি কেউ কেউ নতুন সন্ধান শুরু করেছে, বাংলা অঞ্চলে পতুর্গিজদের আগমন ও তাদের চালানো নানান কার্যক্রম—শামীম প্রায় এক যুগ আগে, এই কাজে হাত দিয়েছিল ‘ভারতবর্ষ’ উপন্যাসে। কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের রাগকাটার ঐতিহাসিকতা খুঁজতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করার ঘটনাবলি শামীমের উপন্যাসে গুটিয়ে থাকা কার্পেটের মতো খুলে যেতে থাকে।

শামীম এভাবে তার কবিতায়ও গোটানো মানচিত্রে খুলে দিতে থাকে জীবনের বিচিত্র বিক্ষেপ। বাংলা সাহিত্যেও ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ভেতরে নতুন করে আধুনিক প্রকাশকে আবিষ্কার ও সেটিকে নিজের কবিতার জগতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সহজ এক জটিলতাময় কাজ শামীম করে চলেছে। যদিও শামীমের সাহিত্য বিশ্বাস ও প্রকাশ প্রায় অজটিল, কমলকুমার-অমিয়ভূষণ কোনো মজুমদারই তাকে মজাতে পারেনি। সেও মজতে পারেনি। কিন্তু তার ভেতরে জটিলতা আছে শব্দসংকেতে এবং চিত্রকল্প নির্মাণের রীতিপদ্ধতিতে। নিজের দশকের সমস্ত কবির সঙ্গে শামীম এই জায়গায় বিযুক্ত। চঞ্চল আশরাফ, আলফ্রেড খোকন, টোকন ঠাকুর, কামরুজ্জামান কামু, মজনু শাহসহ আরো আরো কবি অনুভবলগ্ন চিত্রশালা তৈরিতে বেশি এগিয়ে যান, শামীম সেখানে বস্তুচৈতন্যকে মেশাতে চায় ইতিহাসের গূঢ়ৈষায়। ইতিহাস শামীমের কাছে অগ্রগামী, বলতে গেলে দর্শনের আগে ওর গণ্য বিষয়। কবি তো আসলে নিজেই আলাদা ধরনের দার্শনিক। কবিতা তো এক নিরন্তর দর্শন পরিক্ষেপন, কেউ কেউ যাবে বলেন, কন্টিনিউয়াস ফিলোসফি। কারণ সাহিত্য নিজেই এক ‘দর্শন’—অদার্শনিক-দর্শন। সাহিত্যও দেখায় ও অনুভব করায়, স্মৃতিতে ধরে বর্তমানকে আর বর্তমানকে ধরে স্মৃতিকে।

নব্বই দশকের পর সাহিত্য ঢুকে পড়তে থাকে প্রযুক্তির নতুন বলয়ে। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেয় আত্মপ্রকাশের অবারিত দ্বার। কবিতা চায়, আরো সপ্রতিভ বা স্মার্ট প্রকাশভঙ্গি। গতিশীল উপমা-চিত্রকল্প। সেদিক শামীম তার নিজস্ব কাব্যধারণা বা কাব্যবিশ্বাস নিয়ে তালমেলানোর চেষ্টা করেছে বা করেনি বলা যাবে না। ‘দেশহীন মানুষের দেশে’ সমকালীন জীবনের বিশ্ববিক্ষোভ তুলে আনায় পিছপা হয়নি।

‘হৃদয়ের ক্ষতে বিগত দিনের সন্দেহ
মরিচঝাঁপি ক্যাম্প আর ঘুমধুম
বিশ্বের এ যেন অভিশপ্ত যোনিদেহ
দেশভাগ ও দেশহীন মানুষের গান
কি রোহিঙ্গা কি-বা সিরিয়ার আয়লান
নাফ নদী, যার শোক নাই দুঃখ নাই
পড়ে আছে যেন মৃত ঈশ্বরের দেহ
দৃশ্য নাই ভালোবাসা নাই, আছে শুধু সন্দেহ।’

কিন্তু সবসময় তাকে টেনে নিয়ে গেছে বাঙালি নিজস্ব চিন্তার দার্শনিক প্রকাশের উপায় সন্ধানে। ফলে ‘চর্যাধুনিক’ রচনা। উর্দু শের-শায়েরি বা ভারতীয় বিভিন্ন ভাষা দুই পদের কবিতা বা দোহার ধরনে এই কবিতাগুলি দৈনন্দিনের সঙ্গে চিরায়ত অনুভবকে চিত্রময়ভাবে স্পর্শ করে।

‘জগতের প্রতি বাঁকে বাঁকে পাতা আছে ফাঁদ
ভিতরে আগুন, দিনের পরে তো আছে রাত।’

কবিতা আসলে মন্ত্র। ফলে কবি এমনভাবে সেই মন্ত্র দেন যে তা কোনো কোনো মানুষের সারা জীবনের চালিকা শক্তি হতে পারে, কারো জন্য হতে পারে এক অঃনিশেষ ধাঁধা অমোঘ টানে সে টানে দিনে রাতে প্রতিক্ষণে। এই ধাঁধা যত প্রগাঢ়, কবি তত নিগূঢ় দিকে সবসময় টান দিতে পারেন। শামীম রেজার নিজের কাব্যবিশ্বাস এই যে: কোনো কবির চরম সার্থকতা হলো তার কোনো কোনো পঙক্তি জনমানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে প্রবাদের মতো হয়ে যাবে, বা যে বা যারা তার কবিতা পড়ে তাদের নিত্য মনে রাখার মতো হবে।

শামীম তেমন অনেক পঙক্তি তো লিখেছে। সব প্রকৃত কবিই লেখেন। আমার নিজের কাছে কবি শামীম রেজার কাছে পাওয়া মন্ত্র : ‘পাহাড়ে উঠতে ক্লান্তি লাগে তবু কেন মানুষ পাহাড়ে ওঠে!’ —পুরো জীবনটাকে যেন দেখতে পাই। এই বেঁচে থাকা, এই সাহিত্যচর্চা এই যে যাবতীয় প্রয়াসের সফলতা ব্যর্থতা নিষ্ফলতার বিপরীতে এ এক বিরাট হেঁয়ালির মতো বারবার ফিরে আছে, ‘কেন কেন কেন ওঠে?’ একদিকে প্রশ্নটা সহজ, উত্তরও জানা, কবির সুমন যেমন বব ডিলানের ‘ব্লোলিং ইন দ্যা উউন্ড’ গানটির অনুবাদ করতে গিয়ে করেছেন: প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তর তো জানা।

How many roads must a man walk down
Before you can call him a man?
How many seas must a white dove sail
Before she sleeps in the sand?
How many times must the cannon balls fly
Before they're forever banned?
The answer, my friend, is blowin' in the wind
The answer is blowin' in the wind.

এই যে গানের অনুবাদ সুমন করেছিলেন বাংলায় ‘কতটা পথ পেরেলে তবে পথিক বলা যায়’, সেটি আদতে বাংলায় বিপুল গভীরতায় উন্নীত করে শ্রোতা/পাঠকের মনের ভেতরে, গানটা আরো বড় হয়ে যায় নিজের ভাষায় আস্বাদ করার জন্য। সেখানে প্রশ্ন আর শামীমের বিস্ময়ে কোথাও মিললেও সূক্ষ্মভাবে তীক্ষ্ণভাবে আলাদা।

‘খুলি থেইকা সইরা-সইরা যাচ্ছে চেনা মূর্তিগুলা, ভ্রণ রক্ত কাঁপে আবেগে, জানালার শার্সিতে লেপ্টায়া আছে জোছনার দাগল্পতোমার অঙ্গলি, ঘ্রাণ; উলঙ্গ বারনারীদের হাসির রোলে টাইলসের ছাউনির ফাঁক গাইলা, জোছনা চুইয়া চুইয়া পড়ছে ঘরে আমার। জানি, জোছনা স্পর্শ, অভিলাষ, শুধু অকারণ-আহ্লাদ; এ মাটি মায়ের পাঁজরের নিচে গইলা যাবো জাইনাও ভাবি, পাহাড়ে উঠতে ক্লান্তি লাগে তবু কেন মানুষ পাহাড়ে ওঠে!’

—এটি প্রশ্ন নয়, বিস্ময়ে শেষ হয়। জীবন কী প্রশ্ন নাকি বিস্ময়? —এটাই তখন কোনো পাঠকের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে ওঠে। তাহলে? প্রশ্নই জীবনের শেষ, না বিস্ময়! বিস্ময়ই আসলে প্রশ্নের জন্মউৎস, কী দর্শনে কী বিজ্ঞানে। বিস্ময় ভিন্ন আসলে সৃজনও নেই। সেখান থেকেই সব সৃষ্টি/চিন্তার শুরু, তবে শেষটা কোথায়—নতুন আরেক বিস্ময় না নতুন আরেক প্রশ্নে এই গোলকধাঁধার কাটে কী কারো। তবু শামীম রেজার এই পঙক্তি পড়ামাত্র বা মনে করা মাত্র মনে হয়: একটা কিছু নিয়ে তো বাঁচতে হবে, বাঁচতে হয়, নইলে মানুষ ভেতরে ভেতরে মরে যায়। সাহিত্য সেই বাঁচার পথ। রাইটিং অ্যাজ এ ওয়ে অব লাইফ—সে বাঁচাটা সাহিত্যে নিয়ে দিন রাত পড়ে থেকেও আসলে কজনে তেমন বাঁচাটা বাঁচতে পারে। সাহিত্যকে জীবনপথ করে তুলতে পারে?

তবে কবিতা ঠিক সাহিত্য নয়, সাহিত্য নির্মাণ করা যায়, কিন্তু কবিতা হয়ত বৃক্ষের নিয়ম মানে। কোন শাখা কোন দিকে যাবে, পত্রপুষ্পরাজিতে কটা ডাল কীভাবে ভরে উঠবে বা উঠবে না, বলা কঠিন। ফলে কবি যেমন সচল থাকেন, তেমন ফুরিয়েও যান। কবিতা বিপুল প্রাণের প্রকাশ। যত বড় কবি, তত বড় তার প্রাণ, তত বড় তার প্রকাশ। শামীম রেজা তার বিপুল প্রাণ নিয়ে ততটাই অফুরন্ত থাকবে, এটাই প্রত্যাশা করি।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
দেশ ও জাতির মুক্তির একমাত্র উপায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন: ড. কামাল হোসেন
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী?
সর্বশেষ খবর
খিলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
ইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
প্রয়াণ দিনে স্মরণইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড