X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১
উপন্যাস

বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার

সাজেদুল ইসলাম
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮

আম্বালা বেগম হায়দার মোড়লের বৌ হয়ে যখন মোড়ল বাড়িতে এলো তখন কেবল শ্রাবণ মাস শেষ হয়ে ভাদ্র মাস পড়েছে। ডাওর কেটে গেলেও ডাওরের ছাপ তখনও উঠোনজুড়ে রয়ে গেছে। উঠোনে সবুজ শেওলা, ভেজা মাটি ও মাটির ভিতরে থাকা অবশিষ্ট মূল থেকে উঁকি দিতে শুরু করেছে বাহারি তৃণ। ডাওর শেষে ভাদ্র এলেও বৃষ্টি একেবারে শেষ হয়ে যায় না। ভাদ্রেও বৃষ্টি হয়। ভাদ্রের বৃষ্টির সবচেয়ে অসুবিধার দিক হলো তাকে অনুমান করা যায় না। অনেকটা অসময়ের অতিথির মতো। দেখা গেল— এই আকাশ পরিষ্কার, পরক্ষণে নেমে পড়লো বৃষ্টি। পথিক হয়তো ধবল মেঘের আকাশ দেখে পথ খুঁজতে পথে নেমেছিলো। সে ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেনি যে— বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেবে পথঘাট। তবে ভাদ্রের বৃষ্টিকে পোষ মানানো যায়। ডাওরের বৃষ্টি বশ্যতা অস্বীকার করলেও ভাদ্রে এসে কিছুটা মোলায়েম রূপ নেয়। এই বৃষ্টি, এই রোদ, এই মেঘ— ভাদ্রের স্বভাব। ভাদ্রের প্রকৃতিতে বিরাগ ভাবের মধ্যে হৃদয়েও শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এই শূন্যতা অসংজ্ঞায়িত প্রেমের মতোন— যার জন্য মন কাঁদে তার নাম মুখে নেওয়া যায় না। এই দোটানা পরিস্থিতির মধ্যে এক অচেনা মানুষকে বিয়ে করে কিশোরী আম্বালা বেগম বাপের বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে এসে ওঠলো। তবে স্বামী তার বিদেশ-বিভুঁইয়ে থাকা প্রেমিকের মতো। কেউ একজন আছে হয়তো— তাকে প্রয়োজনে নিজের মতো করে কাছে পাওয়া যায় না। ভাদ্র মাস আম্বালার হৃদয়ের হাহাকারকে খাঁ খাঁ আগুনের মতো জ্বালিয়ে দিলো।

মোড়ল বাড়িতে দ্বিতীয় বৌ হয়ে এসে আম্বালা বেগমের ঘোর কাটতে সময় লাগলো না। নিশ্চিত ভাঙনের মুখে থাকা এক প্রায় বৃদ্ধের সংসারে এসে কিশোরী আম্বালাকে হাল ধরতে হলো। অর্থ ও শৃঙ্খলার তীব্র অভাবের সংসারে সকলের প্রত্যাশা পূরণের দায় এসে তার কাঁধে চাপলো। একদিকে তীব্র অভাব সেই অভাবের সংসারে একদল ছেলেমেয়ের আহারের চাহিদা সামাল দিতে যখন হায়দার মোড়লের প্রাণ যায় দশা তখন আম্বালার দিকে নজর দেওয়ার সময় কোথায়? শুরুতে জীবনের নতুন পরিস্থিতি কষ্টের জোগাড় করলেও ধীরে ধীরে আম্বালার কাছে সেসব সয়ে যেতে থাকলো। আম্বালা যত সাবালক হতে হলো হায়দার মোড়ল তত যেন প্রবীণ হলেন। মোড়লের সংসারে বন্ধুহীন এক আম্বালার গল্প দিন দিন ভারী হতে থাকলো। রোজ সকালে আম্বালার চিন্তা হলো— কীভাবে সবার সামনে একটু খাবার তুলে দেওয়া যায়। সে রুটি বানিয়ে আগে মোড়লের সামনে হাজির করে। মোড়ল খানাপিনা সেরে বাইরে গেলে আম্বালা ছেলেমেয়েদের প্লেটে অবশিষ্ট যৎসামান্য খাবার পরিবেশন করে। এতে কারো কারো পেট ভরলেও মন ভরে না কারো। আম্বালা চুলোয় রুটি সেকতে দিয়ে ঘরে ঢুকে ফের চুলার কাছে ফিরে দেখে তাওয়ায় রুটি নেই। পাতার আগুনে চুলাটা খাঁ খাঁ জ্বলছে। আম্বালা তখন চেঁচিয়ে বলে, কেডা নিয়া গেলি আমার রুটিডা। মোড়লের নয়া মেয়েটি তখন ঘরের ভিতর থেকে বলে, ছোড মা, কুত্তায় নিছে মনে অয়। রুটি কে তুলে নিয়েছে অনুমান করা গেল না। আম্বালা ধরে নেয়— সত্যি কুকুর নিয়ে গেছে রুটি। কুকুরেরও তো পেট আছে, ক্ষুধা আছে। নিজের আহারটুকু অচেনা কুকুরকে বিলিয়ে অনাহারে কাটে তার দিন।

ছেলেমেয়েদের কেউ আম্বালাকে আপন ভাবতে পারে না। তাদের বেহেশতবাসী মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মোড়লের ঘরে এসেছে আম্বালা। সন্তানরা দেখে আম্বালা ঘরে আসার পর থেকে দারিদ্র্য দুয়ারে জেঁকে বসেছে। তারা আম্বালাকে সহযোগিতার বদলে কটু কথা শোনায়। তারা বলে, আমাগো মায় সাক্ষাৎ লক্ষ্মী আছিল। মা বাঁইচা থাকতে বাবায় কতো কিছু পাইছে। বাণিজ্য আছিল, চেয়ারমেনি আছিল। মায় নাই, এহন সব ফকফকা। আম্বালার দুর্ভাগ্যের দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলে, তুমি তো কপালে কিছু আনো নাই।

হায়দার মোড়লের মেয়েরা প্রতিবেশীদের এই বলে বোঝায়— আম্বালা মায়ের সম্মান কীভাবে পাবে— তার না হয়েছে মায়ের বয়স, না আছে মায়ের মতো মমতা। এসব অভিযোগ আবার সুন্দরভাবে গুছিয়ে আম্বালার কানে পৌঁছে দেয় প্রতিবেশীরা। আম্বালা কূলকিনারা মিলাতে পারে না। ঘরের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর চিন্তা সারাদিন তার মাথা খুবলে খায়। অভাবের সংসারে সে নিজেও যখন অভাবী তখন কীভাবে অন্যদের ভালোমন্দ বিচার করে আদর-আহ্লাদ মেটাবে। আম্বালা ঘর সামলায় আর আল্লাহর কাছে নিজের ভাগ্য বিড়ম্বনার কথা বলে। নিজের বাপের ভুলের কথা মনে করে নিভৃতে দুচোখ ভেজায়।

আম্বালার বাবা হাজী জাকু তরফদার হায়দার মোড়লের সম্পত্তি ও সুনামের মোহে পড়ে ক্ষয়িঞ্চু সংসারে নিজের মেয়েকে পাঠালেন। এতগুলো বড়ো বড়ো ছেলেমেয়েদের মাঝে নিজের বয়সী এক বৃদ্ধের কাছে আদরের মেয়েকে তুলে দেওয়ার কালেও তিনি আগপিছ ভাবলেন না। কিসের মোহে ডুবেছিলেন তিনি। বিয়ের কথাবার্তা চালাচালির কালে হায়দার মোড়ল প্রায়ই হবু শ্বশুর বাড়িতে বড়ো বড়ো মাছ, গরুর আস্ত রান ও কয়েক ঝুড়ি বাজার নিয়ে হাজির হওয়ায় জাকু তরফদারের মন গলেছিলো বলে অনেকে মনে করে। আম্বালা শুরুতে মোড়লের এই বাজার-সদাইকে দুরভিসন্ধি ভাবলেও বাবার কাছে বলার সাহস পেলো না। মুখ মুছে চলে আসতে হলো হায়দার মোড়লের ঘরে। তিন বছরের মধ্যে আম্বালার কোলজুড়ে দুটি সন্তান এলে আম্বালার বিপদ আরো বাড়লো। মোড়লের আগের ঘরের সন্তানদের চক্ষুশূল হলো আম্বালার সন্তানদুটিও। মোড়লের চোখে এসব কিছু গোচর হলো না। ব্যবসা ও ক্ষমতা হারিয়ে হায়দার মোড়ল পুরোপুরি নখদন্তহীন বাঘের মতো হয়ে গেলেন। এমনকি লোকে আড়ালে-আবডালে হায়দার মোড়লকে ডেড হর্স বলে সম্বোধন করতে লাগলো। বাইরে প্রতিপত্তি হারিয়ে হায়দার মোড়ল ঘরেও নিষ্প্রাণ হয়ে গেলেন। তিনি ঘরের কোনো বিবাদে আর জড়ালেন না। আম্বালাকে হতে হলো সব ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু।

স্বামীর সোহাগ আম্বালার ভাগ্যে অবশিষ্ট রইলো না। স্বামীর একদল সন্তান সে পেলো কেবল। সঙ্গে সীমাহীন অভাব। অনটনের কালে বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে ডাওর এলো। বিত্তহীন সংসারে ডাওর এক ঘনঘোর হতাশার কাল। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে আম্বালা পিছনের বারান্দায় ঘুমায়। সেজ ও নয়া মেয়েসহ অন্য ভাইবোনরা তখন মাঝখানের বড় ঘরদুটিতে ঘুমায়। সামনের বারান্দা বরাদ্দ বাইরের লোকের বসার স্থান হিসেবে। পিছনের বারান্দাটি স্বাভাবিকভাবে মূল ঘরের মেঝে থেকে কিছুটা নিচু হওয়ায় এবং উপরে চালসংলগ্ন পাটাতন না থাকায় রাতে সেখানে ঘুমোতে গেলে টিনের চালে বৃষ্টির অঝোর শব্দে আম্বালার কান স্তব্ধ হয়ে আসে। এদিন হঠাৎ বৃষ্টির ভিতরে অচেনা মানুষের পায়ের আওয়াজ শুনে আম্বালার তন্দ্রা টুটে যায়। আম্বালা কান পেতে শোনে সেই আওয়াজ। নিশ্চিত হয়, সত্যি কি কেউ এলো না সে ভুল শুনছে। পরক্ষণে আম্বালা নিশ্চিত হয়, একজন নয়, দুই-তিনজন অচেনা মানুষ খুব সন্তর্পণে ঘরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আম্বালা হায়দার মোড়লকে ডাক দেয়। ডাকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলে, এইজে দ্যহেন, ঘরের পাশে কারা যেন আটে। আম্বালার ডাকে হায়দার মোড়লের ঘুমের ঘোর কাটে না। অবসাদগ্রস্ত হায়দার মোড়ল শুধু বলে, উুঁ..। বলে ফের নাক ডাকে। আম্বালা এবার সাহস সঞ্চয় করে নিজেই বলে, ঘরের পিছনে কেডা আটে? ঘরের ভিতর থেকে নারীর উঁচুকণ্ঠ বাইরে পৌঁছালে ঘরের পিছনে এবার টর্চের স্বল্প আলো জ্বলে ওঠে। সেখান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি বলে, চাচি আম্মা, আমরা, ভয় নাই। এ কথায় আম্বালার ভয় আরো বাড়ে। সে বলে, আফনেরা কারা? ঘরের পিছন থেকে ফের আওয়াজ আসে, বলে, আমরা সর্বহারা দলের লোক। ব্যাঙ ধরতে আইছি। আম্বালার কানে এবার ব্যাঙের আওয়াজ এসে পৌঁছে। এতক্ষণ ব্যাঙ ডাকলেও সেদিকে আম্বালা ভ্রূক্ষেপ করেনি। এবার যেন সে সম্বিত পেলো— সত্যি তো ব্যাঙ ডাকছে। সে বুঝতে পারে, একদল লোক এই গভীর রাতে ব্যাঙ ধরতে বেরিয়েছে। সর্বহারা মানুষের এও এক জীবিকা। আম্বালা বলে, দিনেমানে আইতে পারেন না আফনেরা। রাইতে কিসের ব্যাঙ ধরা? আগন্তুক একজন এবার বলে, খালাম্মা, আমরা ভাউয়া ব্যাঙ ধরি। এই ব্যাঙ দিনে ধরা দেয় না। খুব চালাক।

বৃষ্টির নতুন পানির ঢল নামলে মাঠে-ঘাটে ও বাড়ির পিছনের উন্মুক্ত স্থানে গলা ফুলিয়ে ব্যাঙ ডাকে। ডেকে ডেকে হয়রান হয়। সঙ্গীকে আকৃষ্ট করে কাছে আনতে চায়। মানুষের মতো ব্যাঙেরও প্রজনন কাল হলো বর্ষা। স্থানীয় মানুষ হলুদ রঙের সোনা ব্যাঙের নাম দিয়েছে ভাউয়া ব্যাঙ। এই ভাউয়া ব্যাঙ বৃষ্টির নতুন পানিতে মূলত সবুজ রঙের নারী সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক পাঠায়। সবুজ ব্যাঙ পুরুষ সঙ্গীর অপেক্ষায় থাকে কখন ডাক পড়বে। স্ত্রী ব্যাঙ অপেক্ষায় থাকলেও সহজে ধরা দেয় না— যতক্ষণ না ডেকে ডেকে সোনা ব্যাঙের গলা ফাটার উপক্রম হয়। এই ডাকাডাকির ভিতরে আরেকদল বেরসিক ক্ষুধার্ত মানুষ রুজি-রুটি হিসেবে সোনা ব্যাঙগুলোকে টোপ দিয়ে অপহরণ করে। শেষে পরদিন বাজারে বিক্রি করে ক্ষান্ত হয়। ব্যাঙ যে রান্না করে খাওয়ার প্রাণী তা আম্বালা ছোটোবেলায় মায়ের কাছে জেনেছে। আম্বালার মা রহিমা বেগম আম্বালাকে বুকের কাছে শুইয়ে ঘুমপাড়ানির গান গাইতেন— আয়লো ঘুম, ন্যাত্থুল দিয়া, ভাউয়া ব্যাঙ রাইন্দা দিমু তেত্তুল দিয়া। তেঁতুল দিয়ে সোনা ব্যাঙের রেসিপি নিশ্চয়ই দারুণ স্বাদের খাবার তা আম্বালা এখন বুঝতে পারছে। বিশেষত পেটের ক্ষুধা ও মনের ক্ষুধা আম্বালার জীবনে যখন একাকার। নতুন পানির বানে যখন স্ত্রী সঙ্গীকে ডেকে ডেকে সোনা ব্যাঙ ক্লান্ত তখনও হায়দার মোড়লের আবসাদজনিত নিদ্রা কাটে না। ঘরে-বাইরে এই বিরূপ রূপ প্রকৃতি কীভাবে সহ্য করে— আম্বালা ভেবে পায় না। একজন মেয়ের বিয়ে হয় কি শুধু স্বামীর তালাফি-তদবির করার জন্য? স্বামীর খেদমত করা ছাড়া আম্বালার ভাগ্যে কিছু অবশিষ্ট নেই আর।

মেঘনাদ রিহিল হায়দার মোড়লের বাড়ির দরজায় পৌঁছে নুরু মাঝির কথার সত্যাসত্য বুঝতে পারে— কেবল চাবি থাকলে ঘরে প্রবেশ করা যায় না। ঘরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে হয়। ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মেঘনাদ দেখে, মাটিতে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা পড়ছে। বৃষ্টিভারে নুয়ে পড়ছে গাছের পাতা। স্নিগ্ধ প্রকৃতি-পরিবেশ। মেঘনাদ দীর্ঘকাল ঘর-বাড়ি থেকে দূরে। বাড়ি ছাড়ার পর হায়দার মোড়লের তিন ছেলের কেউ সেভাবে আর বাড়ি ফেরেনি। সেই হিসাবে এক পুরুষকাল যাবৎ হায়দার মোড়লের ভিটায় ঠিকঠাক বাতি জ্বলেনি। দীর্ঘ বঞ্চনা ও হাহাকার কাঁধে নিয়ে মোড়লের ছেলেরা বাড়ি ছেড়ে যে যার মত ঠাই খুঁজেছে। মোড়লের বড় ছেলে রেয়াসত মোড়ল বাপের মৃত্যুর পর বাড়ি ছেড়ে ঢাকা শহরে চলে যায়। কিশোর বয়সে নানা ধাক্কা সয়ে সৌভাগ্যের সন্ধান করতে করতে পাড়ি জমায় যুক্তরাজ্যে। সেখানে তার বিয়ে-সংসার ও পরবর্তী জীবন কেটেছে অবলীলায়। জীবদ্দশায় দু-চারবার বাড়ি ফিরলেও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেই ফেরা। প্রতিবেশী কারো সঙ্গে মন খুলে আলাপও করেনি কখনো। ঘাটে-বাজারে দেখা-সাক্ষাৎ হলে একটু কথা বিনিময় পর্যন্তই শেষ। এরপর বড়জোর বাড়ি-ঘরের সংস্কার কাজ শেষে ফিরে গেছে দূরদেশে। এই রেয়াসতের মোড়লের সন্তান মেঘনাদ রিহিল। শৈশবে একবার এসেছিল নিজভূমে। এতোবছর শেষে এই ডাওরে হায়দার মোড়লের শানের সামনে এসে হাজির ভূমিপুত্র। সর্বহারা দলের যে সদস্য আত্মপরিচয় গোপন করে দূর দেশে ব্যাঙ ধরে জীবিকার সন্ধান করে তার সঙ্গে এই ভূমিপুত্রের কী পার্থক্য? উভয়েই তো বহুকাল ভিটেমাটি ছাড়া। শুধু বুকের ভিতরে এই বীজ পুষে রাখলো— ফের কোনোদিন যদি ফির যাই।

চলবে 

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন ডেথ ভ্যালি: রিজভী
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন ডেথ ভ্যালি: রিজভী
ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, দম্পতি নিহত
ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, দম্পতি নিহত
নিউইয়র্কে সাকিবের ব্যবহারে মুগ্ধ বাংলাদেশের সাবেক গোলকিপার 
নিউইয়র্কে সাকিবের ব্যবহারে মুগ্ধ বাংলাদেশের সাবেক গোলকিপার 
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!