জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অবিলম্বে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবিতে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবন এলাকা ঘুরে পুনরায় সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আইবিএ ভবনের কাজ বন্ধ করা চলবে না’, ‘অবিলম্বে আইবিএ ভবন নির্মাণ কর’, ‘ভবন চাই ভবন চাই-আইবিএ ভবন চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেয়।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ সময় সকল প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে আইবিএ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পূর্বেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যেকোনও মূল্যে আমাদের ভবন চাই। সেটা যদি এ স্থানে না হয়, তাহলে অন্য কোনও স্থান আমাদের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার পেছনে ‘সুন্দরবন’ নামক স্থানে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে গত বুধবার (১ নভেম্বর) সেই স্থানে ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে গাছ কাটা হলে কাজ বন্ধ করে দেয় প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বৃহস্পতিবার দিনভর ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতৃত্বে দিনভর প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখলে উপাচার্য এ নির্মাণ কাজের কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
তবে ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের Head of Procurement Entity (HOPE) হচ্ছেন উপাচার্য। HOPE থেকেই আইবিএ ভবনের নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং উপাচার্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। তার অনুমোদন অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এখন যদি উপাচার্য বলেন তিনি কিছু জানেন না, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ইনস্টিটিউটের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি দাবি করে ইতোপূর্বে আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষকদের কক্ষের সংকট আছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে এটা জানিয়ে আসছি। প্রশাসন আমাদের এই জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’