X
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
৬ চৈত্র ১৪৩১

ভ্যাপসা গরমে জীবন চরমে ঢাবির গণরুমের শিক্ষার্থীদের

আবিদ হাসান
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৮আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৮

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই দেশে দাবদাহ বেড়েই চলেছে। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এসব বিবেচনায় সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক শিক্ষার্থীরা একটু সুবিধায় থাকলেও, এই উত্তপ্ত গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের শিকার হচ্ছেন গণরুমের শিক্ষার্থীরা। ভ্যাপসা গরমে জীবন চরমে ওঠায় দিনে একাধিকবার গোসল করেও মিলছে না তাদের প্রশান্তি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট শুরু থেকেই রয়েছে। যার কারণে রয়েছে গণরুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলেই গণরুম আছে। এসব কক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি অবস্থান করেন। ফলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এমনিতেই থাকে না, তার ওপর এই গরমে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সরেজমিনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গণরুমের ফ্যান সব সময় চললেও এত শিক্ষার্থী অবস্থানের কারণে রুম ঠান্ডা হয় না। কক্ষে কারও জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় নেই। ফলে যে যেখানে পারছেন অবস্থান করছেন। এতে ঠিক থাকছে না পরিবেশ, গরমে অতিষ্ঠ প্রায় সবাই। প্রশান্তির জন্য অনেকে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করছেন। আবার অনেকেই গরমে রাতে ঘুমাতে না পেরে রাস্তায় হেঁটে বা আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত কেউ অসুস্থ না হলেও, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া হলের সবচেয়ে ওপরের তলায়ও ভ্যাপসা গরমে রুমে থাকতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস-পদ্ধতিতে গেলেও সেটি সপ্তাহের শুরুতে নেওয়ার কথা বলছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, শনিবার সিদ্ধান্ত নিলে অনেক শিক্ষার্থীই বাড়িতে অবস্থান করতে পারতো। এই ধরনের অসহ্য গরম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হতো না।

স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী মাহির বলেন, আমরা আটজনের রুমে প্রায় ৪০ জন থাকি। এই গরমে কীভাবে সম্ভব হতে পারে? গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করছি, তাও টেকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। রাতে অনেকেই ঘুমাতে না পেরে বাইরে আড্ডা দিয়ে সময় কাটায়, সকালে এসে ঘুমায়।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী নাইম বলেন, আমাদের হলের গণরুম সবচেয়ে বড়। তাই অন্য হলগুলোর তুলনায় গরম কম। কিন্তু আমাদের হলে গরম যা লাগছে, সেটি সহ্য করতে পারছি না। তাহলে অন্যান্য হলগুলোর গরম কোন পর্যায়ে, সেটা ভাবতেও ভয় লাগে!

স্যার এ এফ রহমান হলের পাঁচ তলার শিক্ষার্থী সারোয়ার হামিদ বলেন, হলের ওপরের তলায় কোনোভাবেই অবস্থান করা যাচ্ছে না। ফ্যান থেকেও যেন লু হাওয়া বের হচ্ছে। ছাদে পানি ঢেলেও ঠান্ডা করা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস না থাকলে বাড়ি থেকে আসতাম না। রবিবার সকালে ক্লাস করতে এলাম, পরে শুনি ক্লাস হবে অনলাইনে। থাকি হলের গণরুমে। এই গরমে যেকোনও সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আবার কখন সশরীরে যাবে কেউ জানে না, বাড়িতে আসা-যাওয়ার ভাড়া প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
চট্টগ্রামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধে ভোগান্তি
গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দাশহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত
সর্বশেষ খবর
কু‌ড়িগ্রাম থেকে তুলে লালম‌নিরহাটে নিয়ে কি‌শোরী‌কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
কু‌ড়িগ্রাম থেকে তুলে লালম‌নিরহাটে নিয়ে কি‌শোরী‌কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে: আমিনুল হক
জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে: আমিনুল হক
সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের বৈধতায় হান্নান-মেহেদীদের স্বস্তি
সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের বৈধতায় হান্নান-মেহেদীদের স্বস্তি
ইউক্রেনের জন্য শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যে বৈঠক
ইউক্রেনের জন্য শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যে বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
ঈদের ছুটি আরও দুই দিন বাড়ানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ঈদের ছুটি আরও দুই দিন বাড়ানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত
যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ১৯৪ কর্মকর্তা
যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ১৯৪ কর্মকর্তা
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক সাদ্দাম গ্রেফতার
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক সাদ্দাম গ্রেফতার
ইবনে সিনা হাসপাতালের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’
ইবনে সিনা হাসপাতালের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’