এবারের বাজেট প্রস্তাব পেশের ধরনকে অভিনব এবং কর আদায় সম্ভব হলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বসেই বাজেট অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন।
জাতীয় সংসদ থেকে বাজেট বক্তৃতা শুনে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সম্ভব হতে পারে। আমাদের দেশে ট্যাক্স পেয়ার লোয়েস্ট, এটা যদি পরিবর্তন করে করতে পারে, হাইলি পসিবল।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘‘প্রেজেন্টেশন অত্যন্ত সুন্দর। এক ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু হয়ে গেছে। ম্যাটার অফ চয়েজ। মোস্ট ইন্টারেস্টিং পার্ট ইট ইজ। এটা অবশ্য বিশেষ কারণে হয়েছে। সাধারণত আমরা মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাজেট পেশ করি। এবারে প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেশ করেছেন। ‘দিস ইজ নিউ ট্র্যাডিশন’।’’
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের আগে থেকেই বেশ অসুস্থ ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উত্তরসূরি হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম বাজেট বক্তৃতা। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজে বাজেট বক্তৃতা সম্পন্ন করতে না পারায় তার হয়ে লিখিত বক্তৃতার বাকি অংশ সংসদে পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বাজেট অধিবেশনে অংশ নিতে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে হুইল চেয়ারে করে সংসদের ভিআইপি গ্যালারিতে প্রবেশ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে একটানা ১০টি বাজেট পেশ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়াও এরশাদ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবেও বাজেট পেশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন...
অর্থ ব্যয় হবে যেভাবে
বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন ভ্যাটমুক্ত
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জনপ্রশাসনে, কম শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিসে
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আ.লীগের আনন্দ মিছিল
জিডিপির আকার ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগে বরাদ্দ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা
নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে এই বাজেট অসম্পূর্ণ: সিপিডি
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে
সুনীল অর্থনীতিতে জিডিপি বাড়বে ২ শতাংশ