করোনা ভাইরাসকে সংক্রামক ব্যাধির তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। সোমবার ( ২৩ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবদুল ওহাব খান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯-কে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২১০৮-এর ধারা ৪(ভ)-তে বর্ণিত ক্ষমতাবলে সংক্রামক ব্যাধির তালিকাভুক্ত করা হলো। তবে সোমবার এ গেজেট প্রকাশিত হলেও গত ৮ মার্চ থেকে এটি কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ পাস হয়। ওই আইনে ২৩টি সংক্রামক রোগের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো– ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ফ্লু, নিপাহ, অ্যানথ্রাক্স, মারস-কভ, জলাতঙ্ক, জাপানিস এনকেফেলাইটিস, ডায়ারিয়া, যক্ষ্মা, শ্বাসনালির সংক্রমণ, এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস, টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ, টাইফয়েড, খাদ্যে বিষক্রিয়া, মেনিনজাইটিস, ইবোলা, জিকা ও চিকুনগুনিয়া। এছাড়া আইনে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোনও নবোদ্ভূত বা পুনরুদ্ভূত কোনও রোগকে সংক্রামক রোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কথা রয়েছে। আইনের এই বিধান মতেই নভেল করোনা ভাইরাসকে (কোভিড-১৯) সংক্রামক রোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলো সরকার।
ওই আইনে সংক্রামক ব্যাধির কথা গোপন রাখার পর এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটলে ওই ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ডে বা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এছাড়া এতে কোনও এলাকায় সংক্রমণ দেখা দিলে সেই জায়গাকে ‘সংক্রমিত এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। কেউ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন বা সৎকার করতে হবে বলেও আইনে উল্লেখ আছে।