ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের কারণে আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। মঙ্গলবার (৮ জুন) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং ভাষানটেক বস্তিবাসী ও নিম্নআয়ের ভুক্তভোগীদের ৬ দফা দাবি আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই পরিবারের সন্তান নুরতাজ আরা ঐশী। এসময় ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প ভুক্তভোগীদেরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুরতাজ আরা ঐশী অভিযোগ করেন, ডিএনসিসির মেয়র ও তার কর্মকর্তারা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলমিলতা বাজারের সম্পদ জবরদখল করে রেখেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার দাদার জমিতে নিম্নবিত্তদের জন্য নির্মাণাধীন ভাষানটেক প্রকল্প অবৈধভাবে বন্ধ ও ভাঙচুর করেছেন মেয়র আতিক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের লোকজন। ভাঙচুর চালানোর সময় বসবাসকারীরা বাধা প্রদান করলেও মেয়র আতিক ও তার লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করাসহ ৫ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করে।
লিখিত বক্তব্যে নুরতাজ বলেন, কলমিলতা বাজারের মালিক ডিএনসিসি নয়। বেআইনিভাবে জবরদখল করায় হাইকোর্ট সম্পত্তিটির ক্ষতিপূরণ দিতে ডিএনসিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রিট মামলায় ক্ষতিপূরণ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না মেয়র আতিকুল। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকাকালীন আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব ২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার ডিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। ঢাকার ডিসি ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনে কিছু তথ্য চেয়ে কয়েক দফা ডিএনসিসিকে চিঠি দেয়। তবে আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৯ সালে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ চার হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঢাকার ডিসি বরাবর পাঠান। ফেরত চিঠিতে ঢাকার ডিসি ডিএনসিসি মেয়রের পত্রকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, ‘মেয়র আতিকের লোকজনের প্রভাব বিস্তারের কারণে তার পরিবার লালমাটিয়ার দুটি ফ্ল্যাটের ভাড়া পাচ্ছে না। এছাড়া সাভারে কলমা মৌজায় নয় বিঘা জমি মেয়র আতিক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে রেখেছেন। পরিবারটিকে চাপে রাখতে ও রোজগারের পথ বন্ধ করতে মেয়র আতিক এমনটা করছেন বলে অভিযোগ করেন নুরতাজ।
সংবাদ সম্মেলনে ঐশী বলেন, যে সরকারি অথরিটি এই প্রকল্পের জমি নকশা প্রস্তুত ও অনুমোদন করেছিলেন তাদের সঙ্গে বুয়েটকে সংযুক্ত করে বর্তমান অবস্থায় জমিটি পুনরায় পরিমাপ করা হলে বেরিয়ে আসবে প্রকল্পের জমি কতটুকু বেদখল হয়েছে এবং সেই সঙ্গে বেরিয়ে আসবে ড্রেনটির প্রকৃত অবস্থান কোথায় থাকার কথা।