রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা প্রখর রোদের মধ্যে চৌকি পেতে বসা শুরু করেছেন। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পুড়ে যাওয়া চার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে খোলা স্থানে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার (১২ এপ্রিল) এমন চিত্রই দেখা যায়।
সরেজমিনে বঙ্গবাজারে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটের স্থলে ছোট ছোট চৌকি পেতে কিছু মালামাল নিয়ে ব্যবসায়ীরা বসেছেন। এরপর বেলা ১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস আনুষ্ঠানিকভাবে চৌকি পেতে ব্যবসায়ীদের বসার জন্য ঘোষণা দেন।
সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের চৌকিতে দোকানের নাম ও দোকান নম্বর লিখে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যার দোকান যেখানে ছিল, তিনি সেখানেই চৌকি পেতে বসতে পারছেন। এ ছাড়া এই ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে রফিক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে দেখা যায় ক্যালকুলেটার বিক্রি করতে।
অনেক ব্যবসায়ী এখনও প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি। তাদের কেউ কেউ চৌকি নিয়ে আসছেন। সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি বসাচ্ছেন। আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চৌকি কিনে আনছেন তারা। একেকটি চৌকির আয়তন লম্বায় ৫ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট। এ ছাড়া পুরো মার্কেটের স্থান এখনও প্রস্তুতের কাজ শেষ করতে পারেনি ডিএসসিসি। ব্যবসায়ীদের বসার জন্য ইট-বালু দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছলিং করে দেওয়া হচ্ছে।
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশের অংশ এখনও আর্বজনা সরানোর কাজ চলছে। আর্বজনা সরিয়ে বালু ফেলেই ইট বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা চৌকি বসিয়ে জায়গা নিশ্চিত করছেন। এ ছাড়া উত্তর পাশের মার্কেট এখনও ভাঙার কাজ চলছে।
সিয়াম ফ্যাশনের মালিক আবুল হোসেন মজিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের দোকান মার্কেটের মধ্যে থাকায় একটা মালামালও বাঁচাতে পারিনি। এখন চৌকি পেতে জায়গা দখল করে কী করবো? আমার কাছে কোনও টাকাও নেই যে কিছু মালামাল কিনে এখানে বসবো।
ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, এই মার্কেটে আমার দুটি দোকান ছিল। এখন কিছুই নেই। এখনও পার্টিদের কাছে ২৫ লাখের বেশি টাকা পাবো। কিন্তু তারাও সেটা দিচ্ছে না। এ অবস্থায় কীভাবে ব্যবসা করবো?
বাবুল মিয়া নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আজকেই মালামাল নিয়ে আসতে পারবো না। তবে মাহজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাল মাল তুলবো। কিন্তু আজকে চৌকি বসিয়ে জায়গা নিশ্চিত করছি। যাতে পরে ঝামেলায় পড়তে না হয়।