ভারতে কিংবা বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর অবস্থান সম্পর্কে সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য দিয়ে পারস্পরিক সহায়তা করতে রাজি হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি এবং বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫৩তম সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়ে একসঙ্গে কাজ করার সম্মতি প্রকাশ করেছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজিবি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বিএসএফকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হবে না। অতীতেও দেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না।
তারা বলেন, ভারতে বসবাসকারী বাস্ত্যচুত মিয়ানমার নাগরিকদের ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি উভয় দেশের দালাল চক্র দমনে পরস্পরকে সহায়তা প্রদানের বিষয়েও রাজি হয়েছে বিজিবি-বিএসএফ।
সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার জন্য নন লেথল নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি বিএসএফ পুনর্ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে রাত্রিকালীন যৌথ টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে উভয় পক্ষ পেশাদারত্বের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে রাজি হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনাগুলো জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ অংশে ভারতীয় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ভারতীয় অংশে বাংলাদেশি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক বন্ধের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের পক্ষ থেকে।
দুই দেশে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক-সুবিধা ব্যবহার করে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও তৎপর রয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজিবির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, গত ১১ জুন থেকে ১৪ জন পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিজিবি-বিএসএফ উভয় পক্ষ পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।