ময়মনসিংহ নগরে একটি ভবনে গ্যাসের চুলার আগুনের ঘটনায় ছয় জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে ৪টার দিকে নগরের সানকীপাড়া ‘শেষ মোড়ে’ নজরুল ইসলামের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, একই পরিবারের সদস্য বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম (৭৩), নাতি রিয়াদ (৭) এবং মেয়ের জামাই সোয়েব মাহমুদ (৪০)। দগ্ধ অন্য তিন জন হলেন শ্রমিক। তারা হলেন, বিল্লাল (৩২), প্রান্ত (৩২) এবং সাদ্দাম (৩০)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমাদের এখানে দগ্ধ পাঁচ জন রোগী এসেছেন। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে মো. বিল্লালের শরীরের ৫৫ শতাংশ এবং সাদ্দামের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বাকি তিন জন শঙ্কামুক্ত বলেও জানান তিনি। তাদের মধ্যে সোহেব মাহমুদের শরীরের ১৫ শতাংশ, সাব্বিরের ১২ শতাংশ ও শিশু রিয়াদের শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা সকলেই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলামের বাড়ির নবনির্মিত দ্বিতীয় তলায় গতকাল শনিবার বিকালে আসরের নামাজের পর নতুন ভাড়াটিয়া ওঠার কথা। এ জন্য শ্রমিক দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করাচ্ছিলেন নজরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে রান্নাঘরে চুলা মেরামত করে আগুন ধরানোর সময় পুরো বাড়িতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওই তলায় থাকা পরিবারের সদস্য, শ্রমিকসহ ছয় জন দগ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন দগ্ধদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক প্রান্ত বলেন, ‘সিলিন্ডারটি নিচে ছিল। কেউ সিলিন্ডারটির মুখ খুলে রেখেছিল। এতে চুলা দিয়ে গ্যাস বের হয় এবং ওই ঘরে গ্যাস জমা হয়। তাই যখন আগুন জ্বালানো হয়, তখন তা ছড়িয়ে পড়ে।’
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।