কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার মোজাফফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবুল কাসেম মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আবুল কাসেমের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন। যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিহতের পরিবার ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস)।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের ভাতিজা আবুল কাশেম বুলবুল বলেন, গত ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মামলার বিবাদী শহীদল্লাহ চৌধুরী মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্য আবুল কাসেমকে স্থানীয় শ্রীয়াং বাজারে ডেকে নেয়। আবুল কাসেম সেখানে গেলে বেলা আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। আবুল কাসেম মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বারবার সতর্ক করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তরা আবুল কাসেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, উল্টো তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে থানায় মামলা দায়ের করতে এবং পরে বিচারিক কার্যক্রমে নানাবিধ বাধা সৃষ্টি করে। প্রতিকূলতার মাঝে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। উপরন্তু আসামিরা নিহতের পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলা ও বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।
বুলবুল বলেন, বর্তমানে আমরা এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়-ভীতির মধ্যে অবস্থান করছি। তাই নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়-ভীতি থেকে রক্ষা পেতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাইসসের মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজেম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রকিব আজাদ, নিহত ইউপি সদস্য আবুল কাসেমের স্ত্রী আমেনা বেগম, ভাই মো. আবু তাহের, মেয়ে কামরুন নাহার, জেসমিন আক্তার, জান্নাতুল মাওয়া, ছেলে আব্দুর রহমান, বাবা ইসহাক মিয়া, মা আফিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।