রাজধানীর বাড্ডা থানার নাশকতার মামলায় গ্রেফতারের পর সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে এবং বাকি ১১ নেতাকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিপন উদ্দিন দুলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন এবং বাকিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার দুলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাকি ১১ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শুনানির সময় আসামি দুলু নিজে কথা বলতে চান। বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘এক মাস পরপর আমার কেমোথেরাপি দিতে হয়। আমেরিকা থেকে ওষুধ না আসায় গত ৩ অক্টোবর দিতে পারিনি। এখন মেডিসিন এসেছে। কেমোথেরাপি দিতে অনেক টাকা লাগে কিন্তু ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করেছি। চিকিৎসক বলেছেন, আমি আর চার বছর বাঁচবো। তার মধ্যে এক বছর চলে গেছে। আমাকে চিকিৎসা করার জন্য জামিন দিন।’
এ মামলায় গ্রেফতার অপর আসামিরা হলেন– ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, আবির ইসলাম সাত্তার, মো. তাজ মোহাম্মদ খান মামুন, মো. শিমুল বিশ্বাস, মো. সোহেল, মো. মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু, মাকসুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও শাহীনুর রহমান।
মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (১৭ অক্টোবর) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুব হক সজিব মামলার বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালান। এ সময় বাড্ডা থানার বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে– এমন খবর পান। ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এএসআই মো. আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে আসামিরা। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঘটনাস্থলে তারা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত হয়।