বনভূমি সংরক্ষণ থেকে সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিতে বন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। পাইলটিং ভিত্তিতে বন সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন বন ঘোষণা করার ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। গাজীপুরসহ বেদখল হয়ে যাওয়া ২ লাখ ৫৭ একরের বনভূমি জবরদখলমুক্ত করতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বন অধিদফতর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ড সেন্টারকে কার্যকর করতে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, উপকূলজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। বন্য প্রাণীর আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বন, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে বন অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিজ নিজ দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বন সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ বন অধিদফতরের সদর দফতরের সব এবং সারা দেশের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন অধিদফতরের মিশন, ভিশন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ সার্বিক বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, ঢাকার বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।