সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনায় কমতি রাখেন না ভক্তরা। এবারও দেবীকে আরাধনার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে।
রাত পোহালেই বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেবীর আরাধনায় মাতবেন ভক্তরা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথ হলের মাঠে চলছে পূজার কর্মযজ্ঞ। পুরো মাঠের চারপাশে মণ্ডপ বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট-ইনস্টিটিউটের। সব পূজামণ্ডপেই চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। মাঠের চারপাশে ব্যস্ততা। রাতের মধ্যেই কাজ শেষ করার তাড়াহুড়ো সবার মধ্যে।
পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কারও কারও কাজ শেষ হতে সকাল পর্যন্ত লাগতে পারে, সেটিও হল প্রকাশনের বিবেচনায় রয়েছে। হল প্রশাসন জানায়, মাঠে ৬৯টি, কেন্দ্রীয়ভাবে ১টি, হলের পুকুরে ১টি ও কর্মচারীদের ১টিসহ মোট ৭২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজায় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জগন্নাথ হল। এজন্য বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হল প্রাধ্যক্ষ ড. মিহির লাল সাহা বলেন, আমাদের পূজায় সবার আমন্ত্রণ। আমাদের পূজা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর আমাদের আয়োজনে থাকবে বাঙালি উৎসব। এজন্য আমরা সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই।
এবার ভালোবাসা দিবস,পহেলা ফাল্গুন ও সরস্বতী পূজা একইদিনে হওয়ায় লোক সমাগম বেশি হবে। আর সেটি লক্ষ্য রেখে বাড়তি নিরাপত্তা জোর দিচ্ছে হল প্রশাসন। অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, আমরা এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বসেছি প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে বসেছি। গতকাল শাহবাগ থানার ওসি এসে দেখে গেছেন। আজ সন্ধ্যা থেকেই পুলিশ থাকবে। আমরা সার্বিকভাবে সবার সহযোগিতা কামনা করছি যাতে সবাইকে সুন্দর একটি আয়োজন উপহার দিতে পারি।
হলের মাঠে নিজ বিভাগের মণ্ডপের কাজ তদারকি করছিলেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বাদল বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে। আশা করছি রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। কারও কারও সকাল পর্যন্ত লাগতে পারে। আমাদের কাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পুষ্পাঞ্জলি, এরপর প্রসাদ বিতরণ। তারপর আগত মেহমানদের আপ্যায়ন।
ছবি: প্রতিবেদক।