ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইতোমধ্যে চার বছর পার করেছেন মো. আতিকুল ইসলাম। এই চার বছরে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মেয়াদকালের শেষ এক বছর খাল পুনরুদ্ধারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এর জন্য জিরো টলারেন্স নীতি মানা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৩ মে) ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি আগামী এক বছর খালের দিকে ফোকাস দিতে চাই। এই খালগুলো পুনরুদ্ধারে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। আমি আমার কাউন্সিলরদের বলেছি, খালের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
তিনি বলেন, যখন দেখি খাল দূষণ হয়ে যাচ্ছে তখন খারাপ লাগে। কীভাবে মানুষ বাথটাব, টেলিভিশন, ফ্রিজ, জাজিম খালের মধ্যে ফেলে দেয়। এতে তো জলাবদ্ধতা হবেই।
খাল দূষণ রোধে ‘কলাগাছ থেরাপি’র কথা উল্লেখ করে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, বাড়ির বর্জ্য যেসব পাইপের মধ্য দিয়ে খালে ফেলা হয়, সেই প্রতিটি পাইপে কলাগাছ ঢুকাতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। আমার ব্যর্থতা এখানে। কীভাবে বারিধারা, গুলশানের লোকরা খালের মধ্যে কালো বর্জ্য দিয়ে দিচ্ছে। এটি কষ্ট লাগে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ কাওরান বাজারকে স্থানান্তর করা। এটি আমরা হাতে নিয়েছি, আশা করি সফলতার সঙ্গে করতে পারবো।
এ সময় মেয়র জানান, ডিএনসিসির ১৮টি ওয়ার্ডকে সাজাতে হবে এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ বাড়তে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।