রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এ সংক্রান্ত এক আবেদন নিষ্পত্তি করে বুধবার (২৯ মে) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারী আনোয়ারুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন (অ্যাটর্নি জেনারেল)। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. লাতিফুর রহমান। অন্যদিকে জাকারিয়া আলম শিপলুর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড ছিলেন আইনজীবী আলী আজম।
পরে আইনজীবী মো. লাতিফুর রহমান বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে তিনি বরখাস্তই থাকছেন।’
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, জাল দলিল তৈরি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি বিক্রির অভিযোগে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৬ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এ বহিষ্কারাদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাকারিয়া আলম শিপলু।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ২১ জুন সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে পক্ষভুক্ত হয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আপিল বিভাগের দুই নম্বর বেঞ্চে শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয়।
২০২৩ সালের ১৬ মে রংপুরের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম শিপলুকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুর বিরুদ্ধে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করে। যে কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে বহিষ্কার করে।