ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যের ১৯টি বিভিন্ন কোম্পানি শেয়ার অবরুদ্ধ এবং ১৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৯ এর বিচারক মো. তসলিম আরিফের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জব্দ করা স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গাজীপুর ও টঙ্গী সার্কেলে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তার ভাই এম এ কাইয়্যুম হাওলাদারের নামে ১৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ জমি ও তার ওপর স্থাপিত স্থাপনা। এছাড়াও তার ছেলে আহমেদ তোফিকুর রহমান অর্ণবের বসুন্ধরা এলাকায় তিনটা কার পার্কিং স্পেসসহ ৮ হাজার ৭০ স্কয়ার ফিট স্পেস। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মতিউর পরিবারের ১৯টা কোম্পানির তিন কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে এই আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যগণ তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
এজন্য অত্র অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিম্নবর্ণিত স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।