X
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
২৪ বৈশাখ ১৪৩২

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১২আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫:২৩

২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনও আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলা দায়মুক্তির বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনও আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না— বলে যে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দায়মুক্তি দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়।

রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন— আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২ এর ধারা ৯ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ওই আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনও আদালতে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।’

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে— যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। এ ধরনের দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক।

তিনি আরও বলেন, দেশের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন , বিচার ও সংসদ বিভাগ। আইন সভা আইন পাস করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ৯ নম্বর ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সাংবাদিক শ্যামল দত্তের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বাড্ডার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি
সর্বশেষ খবর
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় যুদ্ধের ঝুঁকি বাস্তব ও বাড়ছে: ডন
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় যুদ্ধের ঝুঁকি বাস্তব ও বাড়ছে: ডন
বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার এখন মিরাজ
বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার এখন মিরাজ
বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ৬৬ ভারতীয় আটক, সবাই গুজরাটের বাসিন্দা
বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ৬৬ ভারতীয় আটক, সবাই গুজরাটের বাসিন্দা
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেই অভিষেক হচ্ছে শমিত সোমের!
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেই অভিষেক হচ্ছে শমিত সোমের!
সর্বাধিক পঠিত
বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন আইনবন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
ফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
পাকিস্তানে ভারতের হামলাফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত