যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিরা বৃহৎ ও ক্রমবর্ধমান অভিবাসী সম্প্রদায়। বেশিরভাগ বাংলাদেশি বাস করেন দেশটির লন্ডনে, বিশেষ করে ইস্ট এন্ডে। কমিউনিটির অন্য বাসিন্দা, নিজস্ব কমিউনিটির মসজিদের আশপাশে বসবাসে আগ্রহ বেশি ব্রিটেনের বাংলাদেশিদের।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, তু্লনামূলক নিম্নমানের বাসস্থানে বসবাস করা সত্ত্বেও বাংলাদেশি পরিবারগুলো তাদের আয়ের একটি বড় অংশ আবাসনে ব্যয় করছে। যা শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ পরিবারগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রেজোলিউশন ফাউন্ডেশনের নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে যেখানে আবাসন খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি সেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ সমকক্ষদের চেয়ে বাংলাদেশি প্রাপ্তবয়স্করা বেশি বসবাস করেন।
গবেষকরা দেখেছেন, বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে আবাসনের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। যেখানে কৃষ্ণাঙ্গ, বাংলাদেশি এবং আরব পরিবারগুলো ভারতীয় এবং চীনা পরিবারের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশি এবং আরব প্রাপ্তবয়স্করা তাদের আয়ের অনেক বড় অংশ আবাসনের জন্য ব্যয় করে, যথাক্রমে ২৩ ও ২৬ শতাংশ। যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই হার ১১ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, জাতিগত পার্থক্য আবাসন খরচের ব্যবধানে প্রভাবক। জেনারেশন রেন্টের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সংখ্যালঘু জাতিগতরা শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ বা আইরিশ শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে অভদ্র বা প্রতিকূল আচরণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অধিকন্তু, আরব, ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি পরিবারের মধ্যে শক্তিশালী সম্প্রদায়গত বন্ধনের ফলে তারা পরিচিত পাড়ায় থাকার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়। এটি করার জন্য উচ্চ ভাড়া বা মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গৃহহীন বা গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান, কৃষ্ণাঙ্গ ক্যারিবিয়ান এবং আরব প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা কমপক্ষে তিনগুণ বেশি।
রেজোলিউশন ফাউন্ডেশনের অর্থনীতিবিদ ক্যামরন আরেফ-আদিব বলেন, ‘জাতিগত সংখ্যালঘুরা তাদের আয়ের একটি বৃহত্তর অংশ ব্যয় করছে কেবল তাদের মাথার ওপর ছাদ রাখার জন্য।’