এক এক্স বার্তায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলবের সংবাদ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বার্তায় বাংলাদেশের পক্ষে কয়েকজন ভারতের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন।
মো. সাবেরুল ইসলাম রাজু নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ থেকে ১৯৭১ সালে যে সকল দামি জিনিস চুরি করে নিয়ে গেছে তা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
থিঙ্কিং মিজান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভারতীয়রা মনে করেন তারা একটি সাম্রাজ্য। অথচ সেখানে তাদের ৪০ শতাংশ ঘরের বাইরে মলত্যাগ করে এবং ৬০ শতাংশ গরুকে মা এবং বলদকে তাদের বাবা হিসেবে পুজো করে। এ ছাড়া গোমূত্রও পান করে।’
অন্যদিকে, ভারতীয়রা বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। রাজেশ রোশন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা, দেশপ্রেমিক ভারতীয়রা, ভারত সরকারকে বিব্রত করতে চাই না। এই কারণেই সমস্ত ভারতবিরোধী উপাদান এখনও সারা বিশ্বে বেঁচে আছে। তাদের শেষ করে দেওয়া আমাদের জন্য একটি শিশুখেলা। রাতারাতি আমরা তাদের শেষ করে দিতে পারি। কোনও সমস্যা নেই। যদি ভারত সরকার সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে, আমরা কোনও ভুল ছাড়াই কাজটি সম্পূর্ণ করবো।’
সন্দীপ কুকরেটি নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যুগ শেষ হয়েছে। দেশটি নিরাশার এক জলাবদ্ধতার মধ্যে নামছে এবং তার প্রতিবেশী পাকিস্তানের মতোই ছিন্নভিন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ধর্ম, রাজনীতি বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে চরম মতাদর্শগুলো যখন আধিপত্য অর্জন করে, তখন তারা অসহিষ্ণুতা, বিভাজন এবং কলহের বিষাক্ত পরিবেশের জন্ম দেয়। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে যা করেছি তার অনুরূপ বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সকল সংযোগ ছিন্ন করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলবের পরের দিন শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নুরাল ইসলামকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক এক্স বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়।