গাজীপুরে হামলার শিকার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ৮ জনের মধ্যে দুজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। এর মধ্যে একজনকে নেওয়া হয়েছে লাইফ সাপোর্টে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় ইয়াসিন আরাফাত নামের একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে মেডিক্যাল বোর্ড তাদের সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিবেন।
আইসিইউতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সৌমেন দে বলেন, আমাদের এখানে কাশেম (১৭) ও ইয়াসিন আরাফাত সাগর (২৫) নামে দুজন রোগী রয়েছে। এর মধ্যে কাশেমকে প্রথম দিন ও ইয়াসিন আরাফাতকে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় আনা হয়।
তিনি বলেন, কাশেমের মাথায় অপারেশন করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে। ইয়াসিন আরাফাতের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বাকি ছয়জনকে রাখা হয়েছে বার্ন ইউনিটের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত ওয়ার্ডে।
তারা হলেন— কাজী অমর হামজা (১৭), শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব আলী (২৪), আব্দুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২), আবির খান (২২)। তারা মাথায় আঘাত পেয়ছেন। নিউরো সার্জারি চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ১২ জনকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বর্তমানে ৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।