দায়িত্ব পালনের সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে কবি নজরুল কলেজের বিএনসিসি ক্যাডেটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে কলেজের শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাসে গিয়ে বিএনসিসির ওই ক্যাডেটকে বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রদলের কর্মীরা। ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম কবি নজরুল কলেজের বিএনসিসি ক্যাডেট ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন— কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আসিফ ও তার তিন বন্ধু শামীম, হামিদুল ও সাখাওয়াত। তারা সবাই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে কলেজ সাংবাদিক সমিতির কনসার্টে আমি শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে একটা জায়গা শুধু আয়োজকদের জন্য ছিল, সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে প্রবেশের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। আমি দায়িত্বের খাতিরে তাদের বাধা দেই। পরবর্তীতে কনসার্ট শেষে রাতে আমি হলে আসার পর আমার রুমে এসে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য পরিচয় দিয়ে আমাকে হল থেকে বের করার হুমকি দেয় এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমাকে অনর্থক মারধর করা হয়েছে। আমি বিষয়টি আমার ইনচার্জকে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
কলেজ বিএনসিসির ইনচার্জ হাসিব বলেন, আমি এ ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি, একইসাথে দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। আমি ইতোমধ্যে কলেজ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা নিশ্চয়ই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন।
এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যক্তির অপরাধ কখনোই সংগঠন বহন করবে না। ছাত্রদল সুশৃঙ্খল সংগঠন এবং শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন। ছাত্রাবাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটার জন্য প্রথমেই দুঃখপ্রকাশ করছি। ঘটনা শোনার পরে আমি এবং আমার সদস্য সচিব রাত দেড়টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। একইসাথে তাদের হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।