৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ার তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা ভেঙে যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে কাকরাইল এলাকায় পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টা নাগাদ মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি এসে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়লে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নেন। পরে তারা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’— এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সংঘর্ষে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন, ওমর ফারুক, সাকিব, আরিফ আসলাম, বিন মোহাম্মদ ইমন, রেদোয়ান, আসিফ, রহমান, শফিক, মুজাহিদ, নাহিদ হাসান, রায়হান, জিহাদ, আবু বক্কর, নিউটন ইসলাম, ফারুক হোসেন, রাসেল, মাহিদ, রফিক ও জিসানুল প্রমুখ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদের পাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।