রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় যে ‘জঙ্গি আস্তানা’ পাওয়া গেছে, সেই বাসার একটি রুমে থাকত চারজন। তারা নিজেদের বাংলা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিল এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গেও ওই পরিচয়েই মাঝে মধ্যে আলাপ করতো। তবে তাদের কোনওভাবেই সন্দেহ করেননি কেউ।
পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় বেরিয়ে আসা গুলশান হামলারকারীদের ‘আরেক আস্তানায়’ গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ৪৪১/৮ নম্বর বাড়িটির ওই ফ্ল্যাটে তালা ঝুলছে ঈদের পরদিন থেকে।
এলাকাবাসী জানায়, ঈদের পরদিন ওই বাসায় একজনকে দেখা গেছে। বাড়ির নীচতলার এক রুমে তারা চারজন থাকতো।
পাশের রুমের বাসিন্দা গার্মেন্টকর্মী মামুন বলেন, মাস তিনেক আগে একবার তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়। গার্মেন্টে কাজ করি বলে আমি সকালে গিয়ে রাতে ফিরি। ফলে খুব বেশি যোগাযোগ হয়নি। তাদের সঙ্গে প্রথম দফায় কথা হওয়ার সময় তারা জানিয়েছিল, তারা বাংলা কলেজে পড়ে। ওদের একজনের মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ছিল।
ওই ভবনের দোতলার এক বাসিন্দা বলেন, তাদের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। এদের বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে চলাফেরায় অস্বস্তিকর কিছু নজরে আসেনি। ছাত্র পরিচয় দিয়েছিল, দেখতেও ছাত্রদের মতোই।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গুলশান হামলাকারীদের আরও একটি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। রবিবার সকালে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৪৪১/৮ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই আস্তানার সন্ধান পায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী ভাড়াটিয়াদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয়সহ নির্ধারিত ফরম পূরণ করে থানায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম তা করেননি।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, সেখান থেকে হাতে তৈরি গ্রেনেড ও কালো পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।
- গুলশান হামলার সব তথ্য আগেই আমাদের কাছে ছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- গুলশান হামলাকারীদের আরেক আস্তানা শেওড়াপাড়ায়!
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
/ইউআই/এজে/