ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। টানা ১৭টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং কয়েকটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। এসময় কেন্দ্র উপস্থিত ভোটার আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। কয়েকজন ভোটার পড়ে গিয়ে আহত হন। এই ঘটনার যুক্ত সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরের মালেকাবানু আর্দশ বিদ্যানিকেতন স্কুলের কেন্দ্র এই ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১০টার দিকে এই কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান জাহাঙ্গীর হোসেন।
কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জানতে চাইলে এই কেন্দ্রের দায়িত্বরত ওসি নুর আলম কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সেখানে উপস্থিত আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা ধারণা করছি পাশের ভবন থেকে ককটেলগুলো ছুড়ে ফেলা হয়েছে।’
ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা পরে মালেকাবানু আর্দশ বিদ্যানিকেতন স্কুলের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিব হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ করে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বিরত রাখতে চায়। কারণ তারা জানে মানুষ নৌকায় ভোট দেবে, ধানের শীষে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আশা করি তাদের পরিচয় জানতে পারবেন।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তবে এর আগে ভোট দেওয়ার পর জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোট কেন্দ্র দখল করতে ঢাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জড়ো করেছে। পুলিশ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে।
ককটেল বিস্ফোরণের শুরু হলে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে দেন ভোটার সামছুর নাহার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আর আসমু না বাবা, আর আসমু না বাবা। আমার ভোট দেওয়া লাগবে। জান নিয়ে বাড়ি যাই।’
এসময় তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন মহিলা ভোটের আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে চলে যেতেও দেখা গেছে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন-
‘বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জড়ো করেছে’
‘জনগণ সঙ্গে আছে, বহিরাগত দরকার নেই’