X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

৭ মার্চের ভাষণই জাতিসত্তার মূল: সাঈদ খোকন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫

‘আগে ৭ মার্চে পাড়া-মহল্লায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ মাইকে বাজানো হতো। এখন অনেকটা কমে গেছে। যুগের পরিবর্তন ও মানুষের জানার আগ্রহ কম থাকায় এমনটি হচ্ছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, ৭ মার্চের ভাষণই জাতিসত্তার মূল। এই শেকড় থেকে যদি আমরা সরে যাই তাহলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি নজরুল সরকারি কলেজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম, উপাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ফকির, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা ।

সাঈদ খোকন বলেন, 'আজ আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাস করছি; বাংলা ভাষায় কথা বলছি। দেশের অনেক নাগরিক সুবিধা ভোগ করছি। তার সবই সম্ভব হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। তাই শেকড় থেকে কখনোই সরে যাওয়া যাবে না।'

৭ মার্চ ভাষণের স্মৃতিচারণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র  বলেন, ৭ মার্চের আগের দিন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মীরা চিরকুটে লিখে দিয়ে যাচ্ছিলেন কী বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু চিরকুটগুলো আমার বাবার (অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) হাতে দিয়ে বলেছিলেন আমি যখন বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠবো; তখন এই চিরকুট আমার হাতে দিবি। পরে যখন বঙ্গবন্ধু বক্তব্য দিতে উঠলেন তখন বাবা চিরকুটগুলো তার হাতে দেন।

তখন বঙ্গবন্ধু বাবাকে বলেন, 'এই চিরকুটগুলো তোর কাছে রাখ। আজ আমি মনের মতো কথা বলবো। বঙ্গবন্ধুর সেই মনের কথাই ৭ মার্চের ভাষণ। সেই বক্তব্যই ছিল বাঙালির কাছে স্বাধীনতার বার্তা, এই বক্তব্যের মধ্যেই ছিল যে তোমরা প্রস্তুত হও দেশ স্বাধীন করতে। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হবে এটাই ছিল মূল বক্তব্য।'

পুরান ঢাকার মানুষ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘১৯৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে পুরান ঢাকার কোতোয়ালী-সূত্রাপুর আসন থেকে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধু বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। ঢাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও কোতোয়ালী-সূত্রাপুর থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। পরে জাতির জনক রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে এই আসন থেকে আমার প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ হানিফ উপ-নির্বাচনে জয়ী হন। ১৯৬৫ সনে আমার বাবা জাতির জনকের একান্ত সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং জাতির জনকের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার সাথে ছিলেন, পাশে ছিলেন।’

/এএইচএস/এমএস/
সম্পর্কিত
সাবেক এমপির শ্যালক ও আ.লীগ নেতা রঞ্জু গ্রেফতার
সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগ নেতা হারুন গ্রেফতার
চাঁদপুর জেলা আ.লীগ সভাপতি নাছির দুই দিনের রিমান্ডে
সর্বশেষ খবর
জুলাই ব্যর্থ হয়েছে এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি: আব্দুল্লাহ তাহের
জুলাই ব্যর্থ হয়েছে এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি: আব্দুল্লাহ তাহের
ছেলের অনার্স-মাস্টার্স শেষ, এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মা
ছেলের অনার্স-মাস্টার্স শেষ, এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মা
৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত
৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত
তেলেঙ্গানায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
তেলেঙ্গানায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট