সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের সামর্থ্য প্রদর্শন ও আগামীতে রাজনৈতিক সুযোগের অপেক্ষায় আছেন বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা জানান, রাজনৈতিক মামলা থেকে মুক্তি ও নিজ নিজ এলাকায় দলকে পুনরায় সংগঠিত করার জন্য আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন তারা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন।
সবুজবাগ থানার যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল রাজ্জাক খান বলেন, সরকার পতনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলনই একমাত্র পথ দলের কর্মীদের চাঙা রাখা।
দীর্ঘ আন্দোলন কর্মসূচির ফলে দলের কর্মীরা তাদের মনোবল হারাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মনোবল হারানোর তো প্রশ্নই আসে না। আমাদের এখন একমাত্র মুক্তি সরকারের পতন। তাই আন্দোলনই আমাদের একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়।
আন্দোলন আর দীর্ঘায়িত হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আশা করি আগামী মাসের মধ্যেও আমাদের এই আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে এবং আমরা একটি সফলতা দেখতে পাবো।
বিএনপির নেতারা ক্ষমতায় যাবার জন্য লড়াই করছে না বরং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই লড়াই করছে মন্তব্য করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, আমরা চাই এই সরকার দেশের যে অবস্থা করেছে তা ঠিক করতেই কাজ করে যাবো৷
নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে হলে এলাকায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা আমাদের হারানো জায়গায় ফিরে যাবো। সেখান থেকেই জনগণের কল্যাণে নতুন করে কাজ করতে হবে। আর আগে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলেও মনোবল হারাননি বলে জানান বিএনপির সাধারণ কর্মীরা। সবুজবাগ থানা থেকে আসা ৭২ বয়সী অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আবদুল হান্নান বলেন, সেই শুরু থেকেই এই দলের সঙ্গে আছি, থাকবো। এখন যদি দলের সঙ্গে না থাকি তাহলে কখন থাকবো।
একই বক্তব্য বিএনপির অন্য কর্মীদের। রাজনৈতিক মামলার ও নির্যাতনের স্থায়ী সমাধানে আন্দোলনকেই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে দেখছেন তারা।