গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। শুক্রবার (২৭ মে) পৃথক-পৃথক বিবৃতিতে তারা ছাত্রদলের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘ছাত্রদলের ওপর সরকারি ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসী হামলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা সরকারের জন্য বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনবে। সারাদেশে সরকারের আশ্রিত হেলমেট বাহিনী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে অস্থিতিশীল করছে, যা খুবই ন্যাক্কারজনক।’
প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা। তারা বলেন , ‘গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধাদান করছে এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা পরিচালনা করছে। এদের সশস্ত্র হামলায় গতকাল এবং গত ২৪ মে শতাধিক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এদের অনেকেই এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
বিবৃতিতে শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, এ বি এম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলের নাম উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রদলের ওপর হামলায় ১১টি ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘সরকারি পেটোয়া বাহিনীর নির্মম হামলা ও অমানুষিক নির্যাতনের হাত থেকে ছাত্রদলের ছাত্রী বোনেরাও রেহাই পাননি। গতকাল তারা হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে প্রাণের ভয়ে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনজীবীদেরও বেধড়ক মারপিট করেছে।’
বিবৃতিতে ছাত্রলীগ জাগপা (লুৎফর) সভাপতি-মো. জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক-মো. ওসমান শেখ, ডি এল গণতান্ত্রিক ছাত্রলীগের সভাপতি নাসিম আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার করিম মামুন, ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর)-সভাপতি কাজী ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (সেলিম)-সভাপতি মো. সান্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. তুষার, ন্যাপ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন মাহমুদ, ছাত্রশক্তি (ইসলামিক পার্টি)-সভাপতি মো. আদেল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুজন মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস ছাত্রফ্রন্ট-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন আদনান, সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রকেন্দ্র-সভাপতি সৈয়দা কানিজ রেশমা হ্যাপি, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল-সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন দুলু এবং বিপ্লবী ছাত্র মঞ্চ-আহ্বায়ক এনামুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল হাওলাদারের নাম উল্লেখ করা হয়।