বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)। এ দিন অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ-মিছিল করেছে। দলগুলো হলো, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), এবি পার্টি, গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এলডিপির অঙ্গসংগঠন গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহানের নেতৃত্বে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেল থেকে রামপুরা লিংক রোড পর্যন্ত মিছিল করে দলটি।
মিছিল শেষে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে বারবার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা জানে সুষ্ঠু ভোট হলে নিজেদের জামানত হারাবে। তাই তারা ভোট দিতে চায় না। আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের বিদায় করে দেশে জনগণের শাসন কায়েম করবো।’
মিছিলে আরও ছিলেন এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, যুগ্মমহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।
এবি পার্টি
বিএনপি ডাকা তিন দিনের টানা অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এবি পার্টি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেতাকর্মীরা বিজয় নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে জমায়েত হন। তারা সেখানে অবরোধের সমর্থনে শ্লোগান দেন। হামলা, সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের সংহতি প্রকাশ করেন।’
এ সময় এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সর্বাত্মক অবরোধ সফল করার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে সাময়িক কণ্ঠরোধ করা সম্ভব হলেও মৌন সমর্থন দিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন এ সরকারের কোনও বৈধতা নেই।’
প্রতিবাদী অবস্থানকালে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘অধিকারহারা বাংলার মানুষ আজ অতিষ্ঠ। গুলি ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে তা কেউ ভুলবে না। সময়মতো সব কিছুর জবাব দেবে মজলুম জনতা।’
বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে আরও ছিলেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুসহ অনান্য নেতা কর্মীরা।
গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি
এদিকে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আরামবাগ থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে নটরডেম কলেজের সামনে দিয়ে ঘুরে গণফোরাম চত্বরে এসে শেষ হয় এই বিক্ষোভ মিছিল। পরে দলীয় শীর্ষ নেতাদের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে এসে বৈঠক করছে, এটা কীসের আলামত! কোনও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কমিশনাররা সুপ্রিম কোর্টে এসে মিটিং করে না, এটাও এক ধরনের ষড়যন্ত্র! জনগণের বিরুদ্ধে আরেকটি পাতানো নির্বাচনে বিচার বিভাগকে কাজে লাগানোর পাঁয়তারা করছে। কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। জনগণ ইতোমধ্যেই এই সরকারকে বয়কট করেছে।’
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী বলেন, ‘জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।’