নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আপনারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটা পাতানো নির্বাচনের সহযোগী হবেন না। তাহলে মানুষ সরকারের মতো আপনাদেরও গণদুশমন হিসেবে বিবেচনা করবে। সুতরাং তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখুন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) অবরোধের সমর্থনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার প্রতিটি গ্রামে-ইউনিয়নে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে। সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে তারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আফ্রিকার অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এখনও আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ পথে বিদায়ের সুযোগ আছে। যদি সেই সুযোগ সরকার গ্রহণ না করে তবে এই গণআন্দোলন অচিরেই গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে।’
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব বিরোধী দল, জনগণ তাদের ভোটের অধিকারের জন্য মুখিয়ে আছে। সরকারের পদত্যাগের জন্য রাজপথে আন্দোলন চলছে। আপনারা ১৮ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই ভোট ডাকাতদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন না।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘দেশে ১৯৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নাই, এটি প্রমাণিত সত্য। সুতরাং জাতি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার আইন ও বিধি-বিধান তৈরি করেছে।’
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মানতে দেশের ১৮ কোটি মানুষ বাধ্য নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী জাতির ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হয় নাই। এই সংশোধনী একটি দলের সংশোধনী। এই সংশোধনী মানতে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ বাধ্য নয়। আমরা এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্ববান জানাচ্ছি।’
শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও ছিলেন– গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ সেলিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।