‘মাজারসহ ভিন্নমতের বিশ্বাসীদের স্থাপনায় হামলাকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিরা ২৪’র ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুচরের মতোই আচরণ করছে। কোনও বিবেকবান মানুষ এমন অপরাধ ও অন্যায়কে সমর্থন করেন না। মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মাধ্যমে ওই গোষ্ঠী ইসলামি রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত করছে, তেমনিভাবেই দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র করছে। এই সব ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে অবিলম্বে হামলাকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বুধবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া পবিত্র রমজানের সময় রবিবার রাতে বরগুনায় ইসমাইল শাহ’র মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আসলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নামে ওরা কারা? কী চায় ওরা, কোন গোষ্ঠীর ক্রীড়নক হিসেবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছে? বহুমত ও পথের বাংলাদেশের সব অর্জন ধ্বংস করে যারা দেশে নতুন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়— তারাই বরগুনায় রাতের আঁধারে মাজারে হামলা করে অগ্নি সংযোগ করেছে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এরা সমাজের ধর্মের নামে বিভক্তি আরও বৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’
তারা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত যত দরবার, মাজার, বাউল সংগীতের অনুষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে— গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে সব কিছুর পেছনে ধর্মীয় ছদ্মাবরণে পতিত স্বৈরাচার ও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যপত্যবাদী শক্তির পরোক্ষ মদত রয়েছে। এসব ধ্বংসাত্মক কাজগুলোতে সাধারণ ও সরল প্রাণ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল ও ব্যক্তিদের দেশের সাধারণ মানুষ ও আর্ন্তজাতিক বিশ্বে উগ্রবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।