X
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
১ চৈত্র ১৪৩১

রফতানিতে নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৬আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৯

সব ধরনের রফতানিতে নগদ সহায়তা কমিয়ে গত ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাট, কৃষিসহ ৪৩ খাতে নগদ সহায়তা কমবে রফতানিকারকদের। প্রণোদনা কমানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এফই সার্কুলার নম্বর ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা আগের অবস্থায় আনতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত টেক্সটাইল শিল্পর জন্য একটি যুগোপযোগী টেক্সটাইল পলিসি প্রণয়ন এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখার দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বিটিএমএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। এ সময় বিটিএমএর সহসভাপতি মো. ফজলুল হক, মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভুঁইয়াসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, যেকোনও শিল্প শক্তিশালী বা টেকসই করার জন্য নীতিসহায়তা বা প্রণোদনা প্রয়োজন; বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও যা দিয়ে আসছে। যেকোনও দেশের জন্য টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শক্তিশালী নীতিসহায়তা ও প্রণোদনা। আমাদের দেশে কোনও ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে নগদ প্রণোদনা যেভাবে কমানো হয়েছে, তাতে টেক্সটাইল খাতে সক্ষমতা কমবে। এর প্রভাবে ক্রমান্বয়ে এ সেক্টরের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। এ ছাড়া এ খাতে প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই টিকতে পারবো না। কোনও কারণে প্রাইমারি টেক্সটাইল বন্ধ হলে পরবর্তীতে তৈরি পোশাক শিল্পও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হবে।

তিনি বলেন, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশ এবং টেক্সটাইল টেকনোলজিতেও বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০০৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েটেড হওয়া সত্ত্বেও টেক্সটাইল শিল্পকে নানাভাবে নগদ প্রণোদনার বিকল্প সুবিধা দিয়ে আসছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা ও নীতিসহায়তা ব্যাপকভাবে কমানো হচ্ছে। তাতে এ শিল্প অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের জন্য রফতানির বিপরীতে ২৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এটি দেশের টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাতের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফলে এ খাতে রফতানি আয় ২ বিলিয়ন থেকে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংক এ বছর লভ্যাংশ দিতে পারবে না
অর্থপাচার ঠেকাতে নতুন বিভাগ খুললো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
গার্মেন্টস কারখানায় ভূত আতঙ্কে ১৫ নারী শ্রমিক অসুস্থ
সর্বশেষ খবর
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও অন্তর্বর্তী সরকার গভীর ঘুমে: গণফোরাম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও অন্তর্বর্তী সরকার গভীর ঘুমে: গণফোরাম
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
সালিশে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
সালিশে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
পরিবারসহ কূটনীতিক হারুনের পাসপোর্ট বাতিল
পরিবারসহ কূটনীতিক হারুনের পাসপোর্ট বাতিল
কক্সবাজার যেতে পারেননি সেই প্রকৌশলী, ব্রিফ করলেন বেবিচক চেয়ারম্যান
কক্সবাজার যেতে পারেননি সেই প্রকৌশলী, ব্রিফ করলেন বেবিচক চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে চায়ের দোকানে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে চায়ের দোকানে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ
বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ আটক সেই প্রকৌশলী ছাড়া পেলেন মুচলেকায়
বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ আটক সেই প্রকৌশলী ছাড়া পেলেন মুচলেকায়
একসঙ্গে নাচলেন তারা...
একসঙ্গে নাচলেন তারা...