সাকিবের ফিফটি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ছিল ৪৯টি। শুক্রবার সিকান্দার রাজাকে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দী করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০তম উইকেট তুলে নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান খরচায় একমাত্র এই উইকেটটি নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারে দলের অধিনায়ক মাশরাফি সাকিবের হাতে বল তুলে দেন। প্রথম স্পেলে সাকিব ২ ওভার বল করে খরচ করছেন ১২ রান।  ১৪তম ওভারে মাশরাফি আবার সাকিবকে নিয়ে আসেন। কিন্তু তার করা এই ওভারে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ২টি ওভার বাউন্ডারি ও একটি বাউন্ডারির মাধ্যমে ১৯ রান তুলে নেন।  ৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন সাকিব। নিজ শেষ ওভারটি চতুর্থ স্পেলে করে অবশেষে সাফল্য তুলে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। 

টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে আছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া বর্তমান দলে থাকা অধিনায়ক মাশরাফির রয়েছে ৩০টি উইকেট। 

এদিকে গত ম্যাচে রিচমন্ড মুতুম্বামিকে (২০) ফিরিয়ে সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৪০০তম উইকেট তুলে নেন। ওই কীর্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪০০ উইকেট স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে ঢুকে গেছেন ৪০০ উইকেট ও ৮ হাজার রান অর্জন করা অভিজাত এক ক্লাবেও।

২৪০ ম্যাচে ৪০০ উইকেট স্পর্শ করলেন সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে ৩০০ উইকেটই আছে আর মাত্র একজনের। ২৩০ ম্যাচে ৩১০ উইকেট মাশরাফির। ১৯৯ ম্যাচে ২৭৪টি উইকেট নিয়ে তিনে আব্দুর রাজ্জাক। ১৫৭ ম্যাচে ২২০ উইকেট মোহাম্মদ রফিকের।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা তিন বোলার

/আরআই/এফআইআর/