বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি ছিল বলেই জানা গেছে। যদিও সংখ্যাটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। কিন্তু গ্যালারিতে কেবল ভারতীয় দর্শক-সমর্থকের দেখা মিলেছে। হাতেগোনা কিছু পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত দর্শক-সমর্থক ছিলেন, যারা আবার অন্য দেশের। সাত উইকেটে হারের পর পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার জানান, পাকিস্তানি দর্শকদের অনুপস্থিতি তাদের সাত উইকেটের হারে প্রভাব ফেলেছিল। এই ম্যাচকে আইসিসি ইভেন্টের চেয়ে ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ’ মনে হয়েছে তার।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে গতকাল কতজন উপস্থিত ছিলেন সেটার সংখ্যা জানানো হয়নি। কিন্তু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পুরোটা ছিল ভারতীয়দের নীল সমুদ্র! পাকিস্তানি দর্শক হয়তো নগন্য সংখ্যক ছিলেন। থাকলেও তারা মূলত পাকিস্তানি আমেরিকান। কিন্তু আইসিসি ইভেন্ট হওয়ার পরেও দর্শক উপস্থিতি এভাবে একপেশে হওয়াটা ভালোভাবে নিতে পারেননি পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তার এই মন্তব্যের পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
টুর্নামেন্টের আগে থেকেই পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে কঠোর অবস্থানে ছিল ভারত। ফলে মাঠে পাকিস্তানি দর্শক উপস্থিতি আর সবুজ ঢেউয়ের জোয়ার দেখা যায়নি। মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারেও একই কঠোরতা চোখে পড়েছে। দীর্ঘ বিলম্বের পর ৩৫৫টি আবেদন থেকে ৬০ সাংবাদিকের মধ্যে ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত মাত্র ৩জন ভিসা পেয়েছেন!
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচের পর আর্থার বলেছিলেন, ‘দেখুন, এটা প্রভাব ফেলেনি, এই কথা বলা মিথ্যা হবে। আমার কাছে তো এটা আইসিসি ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে এটা বুঝি একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।’
আর্থারের মন্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের কাছে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে এমন সমালোচনাকে স্বাভাবিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘আমরা যে ইভেন্টই করি না কেন, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সবসময় সমালোচনা শুনতেই হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয়গুলো বদলাতে পারি, সেগুলো নিয়ে কাজ করে যাবো। এই ইভেন্টের কেবল শুরু। কী বদলানো যায়, সেটা আমরা পর্যালোচনা করবো। কীভাবে বিশ্বকাপকে আরও ভালো করা যায়। আমি সন্তুষ্ট যে এটা অসাধারণ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে।’/