রানের পাহাড় গড়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই আসরে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪২৮ রান তুলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরের ইতিহাস গড়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও স্কোরটা করলো চারশ ছুঁই ছুঁই। মুম্বাইয়ের ব্যাটিং স্বর্গে টসে হেরে ইংলিশদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করেছে প্রোটিয়া দল।
গত ম্যাচে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সূচনাটা করেছিলেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। এবার অবশ্য দ্বিতীয় বলেই আউট হয়েছেন তিনি। গত ম্যাচে যারা প্রভাব বিস্তার করে সেঞ্চুরি করেছিলেন, তারা এদিন ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। ব্যতিক্রম ছিলেন রাসি ফন ডার ডুসেন। শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে অবদান রাখেন তিনি। বাভুমা অসুস্থ থাকায় তার বদলে নামা রিজা হেনড্রিকস তাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছেন ১২১ রান।
৭৫ বলে ৮৫ রান করেছেন হেনড্রিকস। ৬০ রান করা ডুসেনকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন রশিদ। ৮৫ রানে ইংলিশ স্পিনার হেনড্রিকসকেও আউট করে মাঝে কাটানোর বিছানোর চেষ্টা করেছেন। মারক্রাম এই সময় হালকা প্রতিরোধ গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেও আউট হন ৪২ রানে। এই সময় ডেভিড মিলারের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে প্রোটিয়া দল ফল পেতে পারতো। সেই মিলার ৫ রানে আউট হওয়ায় চাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হাইনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো ইয়ানসেনের বারুদে ব্যাটিংয়ে সেই চাপ মুহূর্তেই উড়ে গেছে। তাদের অসাধারণ ব্যাটিং প্রদর্শনীতে ম্যাচের গিয়ার বদলেছে দ্রুতই। ৭৭ বলে তাদের ঝড়ো ১৫১ রানের জুটি স্কোরটাকে চারশর কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
৬১ বলে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি পাওয়া ক্লাসেন আউট হন দলের ৩৯৪ রানে। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১০৯ রানে ফিরেছেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৪টি ছয়। ৩৫ বলে ফিফটি পাওয়া ইয়ানসেন ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৮৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রিস টপলি। দুটি করে নিয়েছেন গাস অ্যাটকিনসন ও আদিল রশিদ।