কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন সাকিব আল হাসান। লম্বা সময় ধরে তার ব্যাটে রানে নেই, বোলিংয়েও ধার নেই! এই অবস্থায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার। ফলে অনেক চাপ নিয়েই বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন। সেই চাপকে এক ঝলকেই উড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে দারুণ ইনিংসের পর বল হাতেও ছিলেন কিপ্টে। ফলাফল বাংলাদেশের ২৫ রানের দুর্দান্ত এক জয়। এভাবে চাপকে জয় করে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের সরল স্বীকারোক্তি, ‘আল্লাহ আমার প্রতি সব সময়ই দয়ালু।’
বৃহস্পতিবার আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৫৯ রান তোলে। যেখানে সাকিবের অবদান অপরাজিত ৬৪ রান। শান্ত-লিটনদের ব্যর্থতার দিনে সাকিব দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন। দল যখন চাপের মুখে বোলিংয়ে রেখেছেন ভূমিকা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে চাপকে পেছনে ফেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। এই জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছেন, ‘এরকম পরিস্থিতি যখনই আসে, আল্লাহ ভালো কিছু দিয়ে দেয়। আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু করতে পেরেছি। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পয়েন্ট পেয়েছি। দেশ থেকে আসার আগে কেউ যদি বলতো আমাদের ৪ পয়েন্ট থাকবে, তাহলে আমরা খুশি মনেই নিতাম।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ সাকিবের সমালোচনা করেছিলেন। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে সাকিবকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। ক্রিকবাজের একটি শোতে শেবাগ বলেছিলেন, ‘সাকিব খুবই অভিজ্ঞ, আবার অধিনায়কও ছিল। কিন্তু পরিসংখ্যান এমন! সাকিবের লজ্জা পাওয়া উচিত এবং এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া উচিত।’
ম্যাচ শেষে শেবাগের এই কমেন্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় কখনও প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। তার কাজ হচ্ছে দলের জন্য অবদান রাখা। এখানে আসলে উত্তর দেওয়ার কিছু নেই কাউকে। একজন খেলোয়াড় যখন দলের জন্য অবদান রাখতে পারে না স্বাভাবিকভাবে কথা হবে। আমি মনে করি সেটা খুব একটা খারাপ কিছু না।’
বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। ম্যাচটি পড়েছে ঈদের দিন। নেপালের বিপক্ষে জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিতে মরিয়া সাকিব, ‘অবশ্যই নেপালের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ওই ম্যাচ জিতলে আমাদের সুপার এইট নিশ্চিত হবে। আমরা মুখিয়ে আছি। ঈদের দিন, মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন। বাংলাদেশে সবাই উদযাপন করে। আশা করি ঈদের দিনে আমরা সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’