সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব নেন সাবেক অধিনায়ক। শুরুতেই তিনি বিপিএল আয়োজন করেন, সেখানে হযবরল অবস্থা ফুটে উঠেছিল। এই নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সম্প্রতি বিসিবির বেশ কিছু এফডিআর বিভিন্ন ব্যাংকে সরানো নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর বাইরে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ফারুকের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও কীভাবে বিসিবির সভাপতি হন ফারুক?
ফারুক এসব বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিম কিন্তু ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে বানানো। এটা নিয়ে আমি দীর্ঘ আলোচনা করতে চাই না… আমার ফ্যাসিস্টের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই। ফ্যাসিস্ট রেজিমের সঙ্গে যদি সম্পর্ক থাকতো, আমি আজকে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম না। আমি কিন্তু প্রেসিডেন্ট এই নতুন সরকারের। এটা কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে। নতুন সরকার যদি দেখে বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা থাকতো আমার, তাহলে কিন্তু আমি এখানে আসতাম না আজকে।’
নিজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রসঙ্গে ফারুক বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের জায়গাটায় অনেকের অনেক ইন্টারেস্ট আছে, তারাও হতে পারে। আমি জানি না ভালো কাজগুলা নিচে পড়ে যায় বাইরের প্রভাবে। দুইটাই করবো- ভালো কাজের প্রশংসা করবো, খারাপ কাজের সমালোচনা হবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝে মাঝে ভালো কাজগুলো নিচে চাপা পড়ে যায় এই খারাপ কাজের ভিড়ে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে কারণ আপনারা যদি সত্যিটা তুলে ধরেন এবং বায়াসড না হয়ে কাজ করেন আমার মনে হয়...।’
এরপর সাংবাদিকদের অনুরোধ করে ফারুক বলেছেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি, এটা সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। আমি এমন একজন মানুষ- আমি সবসময় বলি সমালোচনা করেন গঠনমূলক, সেটা কিন্তু মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু কিছু বিষয় আছে অপ্রয়োজনীয়ভাবে করা আরকি। আমি আশা করবো এটা না করলেই ভালো। মেইন ফোকাসটা সরে যায় তাহলে। ক্রিকেটের যে মেইন ফোকাস- আমাদের দায়িত্বটা কী, বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ওইগুলোতে আমাদের ত্রুটিগুলো, ওইগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো প্রথম। তারপর বাকি কাজ।’