আইপিএলে পাঞ্জাবের ঘরের মাঠ ধর্মশালায় ২৩৭ রান তাড়া করা সহজ ছিল না। তার ওপর তিন ওভারের মধ্যেই এইডেন মারক্রাম ও মিচেল মার্শকে হারায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। শেষ অব্দি অবশ্য পারেনি তারা। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে ম্যাচ হেরেছে লখনউ। পাঞ্জাব কিংস ৩৭ রানে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে পৌঁছে প্লে-অফের পথে নিজেদের আরও এগিয়ে নিয়েছে।
ধর্মশালার হিমালয় প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে প্রভসিমরন সিংহের ৯১ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ২৩৬ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। জবাবে লখনউ শুরুতেই চাপে পড়েছে। মাত্র ১৬ রানে দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটার মারক্রাম ও মার্শকে হারিয়েছে। নিকোলাস পুরানও হয়েছেন ব্যর্থ। ২৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ঋষভ পন্তের দিকে তাকিয়ে ছিলেন লখনউ ভক্তরা। কিন্তু হতাশ করেছেন তিনি। চার নম্বরে নেমে খেলেছেন ১৭ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
পন্তের আউটের পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লখনউ। ৬ষ্ঠ উইকেটে কেবল প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন আয়ুষ বাদোনি ও আব্দুল সামাদ। তাদের ৮১ রান আশা দেখালেও শেষ অব্দি শুরুর ব্যর্থতায় পেরে উঠেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লখনউর ইনিংস থামে ১৯৯ রানে। সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন আয়ুষ। সামাদের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রানের ইনিংস।
পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে আরশদীপ সিং তিনটি এবং আজমতুল্লাহ ওমরজাই দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও মার্কো ইয়ানসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই প্রিয়াংশ আর্যকে হারায় পাঞ্জাব। তার অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে প্রভসিমরন ও জশ ইংলিশ মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। জশ ইংলিশ ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রভসিমরন। ৭৮ রানের জুটির পর পাঞ্জাবের অধিনায়ক আউট হন ৪৫ রানে। তবে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান পাঞ্জাব ওপেনার প্রভসিমরন। দুর্ভাগ্য ১৯তম ওভারে গিয়ে ৯১ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। যদিও আসল কাজটা করে ফেলেন তিনি, দলের রানকে নিয়ে যান দুইশর উপরে। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিংয়ের ১৫ বলে ৩৩ এবং মার্কাস স্টয়নিসের ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিওতে পাঞ্জাব ঋষভ পন্তদের সামনে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পারে।
লখনউর বোলারদের মধ্যে আকাশ সিং ও দিগ্বেশ রাঠি প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন। একটি উইকেট নেন প্রিন্স যাদব।