চলতি আইপিএলে হেরে অভ্যস্ত চেন্নাই সুপার কিংস বিরল জয়ের দেখা পেলো বুধবার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ঝড় তুলে জয়ের নায়ক ডেভাল্ড ব্রেভিস। শেষ দিকে ফিনিশারের ভূমিকা রাখেন ধোনি। চার ম্যাচ পর তারা জিতলো ২ উইকেটে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেছিল কলকাতা। নুর আহমেদ চার উইকেট নিয়ে তাদের রানের লাগাম টেনে ধরেন। ১৭৯ রানে থামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে ব্রেভিসের ঝড়ো ইনিংসের পর শিভম দুবে ও ধোনির আগ্রাসী ব্যাটে ৮ উইকেট হারিয়ে জিতেছে চেন্নাই।
১২ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেলো পাঁচবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে তারা। কলকাতা সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরেই আছে।
১৭ বছর পর প্রথমবার চেন্নাইয়ের দুই ওপেনারই রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ। আয়ুশ মাত্রে ও ডেভন কনওয়ে ডাক মারেন। পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে যেন অন্ধকার দেখছিল চেন্নাই। তারপরও চলতি আসরে পাওয়ার প্লেতে যৌথভাবে নিজেদের সর্বোচ্চ ৬২ রান করে তারা। মূল অবদান অভিষিক্ত উরভিল প্যাটেল। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে বিদায় নেওয়ার আগে ঝড় তোলেন তিনি। ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা উরভিল ১১ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৩১ রান করেন।
৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং ধসের পর ব্রেভিস ও শিভম ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন। দুজনে মিলে ৬৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। ব্রেভিস বিদায় নেওয়ার আগে বৈভব অরোরার ১১তম ওভারে ৩০ রান তোলেন। ওই ওভারে ২২ বলে ফিফটি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। ২৫ বলে চারটি করে চার ছয়ে ৫২ রানে থামেন তিনি।
এরপর শিভম ও ধোনির জুটিতে সহজ জয়ের পথে ছিল চেন্নাই। কিন্তু ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল তারা। ৪০ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪৫ রানে আউট শিভম। ৩৯ বলে ৪৩ রানের জুটি ভাঙে। নূর আহমেদ অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ফিরলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরেছিল। শেষ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখে ৮ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। আন্দ্রে রাসেলের ফুলটস বল ছক্কা মেরে শঙ্কা দূর করেন। চতুর্থ বলে আংশুল কম্বোজের বাউন্ডারি জয় এনে দেয়। ১৮ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি।
কলকাতার পক্ষে বৈভব সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান হার্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতার কেউ হাফ সেঞ্চুরি না পেলেও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইনিংসে দলীয় স্কোর হয়ে উঠেছিল চ্যালেঞ্জিং। ১১ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সুনীল নারিন ও আজিঙ্কা রাহানে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার ১৭ বলে ২৬ রান করে অবদান রাখেন।
রাহানে ৩৩ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৪৮ রান করে থামেন। শেষ দিকে মানীষ পান্ডের ২৮ বলে অপরাজিত ৩৬ ও রাসেলের ২১ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও ভালো ভূমিকা রাখে।
কলকাতার ছয় উইকেটের চারটি নেন নূর। আফগান স্পিনার চার ওভারে ৩১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।