প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ভেন্যু নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। শুরুতে সাত ভেন্যুতে লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে ভেন্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় দুইয়ে। ভালো ভেন্যুগুলো বাদ পড়ায় ক্লাবগুলোও বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি। যার সমাধানে শুক্রবার সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদার লিগ কমিটি। ঘণ্টা দেড়েকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়াম। এর বদলে লিগ অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি ভেন্যুতে।
পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগামীকাল থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ দুটো মাঠে (মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গী) খেলা চলবে। সিলেট, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, কুমিল্লা ও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা-এ মাঠগুলোয় চতুর্থ রাউন্ড শুরু হবে। প্রতিটি ক্লাবের দুটি করে হোম ভেন্যু থাকবে।’
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাহনী লিমিটেড ও রহমতগঞ্জের হোম ভেন্যু সিলেট, বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা, শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের মুন্সিগঞ্জ, মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর কুমিল্লা, পুলিশ এফসি ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের রাজশাহী এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারার হোম ভেন্যু নির্ধারণ হয়েছে গোপালগঞ্জ।
ভেন্যু বাড়ানো প্রসঙ্গে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘কোভিডের কারণে আমরা দুই ভেন্যুতে গিয়েছিলাম। এ মুহূর্তে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, সংক্রমণ কমে এসেছে। যাই হোক, চতুর্থ রাউন্ড থেকে এই ছয়টি ভেন্যুতে খেলা হবে।’
টঙ্গীর ভেন্যু বাদ দেওয়া নিয়ে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের কথা, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন করোনা শনাক্তের হার কম এবং অসুস্থতাও গুরুতর নয়। এজন্য আগের ভেন্যুগুলোতে ফিরে যাওয়া। টঙ্গীর ভেন্যুটি ছিল বিকল্প ভেন্যু হিসেবে। এখন অন্য ভেন্যু প্রস্তুত। ফলে এই ভেন্যু আর প্রয়োজন হচ্ছে।’
কোনটা কার ভেন্যু:
সিলেট জেলা স্টেডিয়াম: ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জ
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স: বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়াম: ঢাকা মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে.মতিউর রহমান,মুন্সিগঞ্জ: শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিং
রাজশাহী জেলা স্টেডিয়াম: বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ
গোপালগঞ্জ: উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।