গত ইউরোর সেমিফাইনালেই স্পেনের মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে ইতালি জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। পরে তো ইউরোর শিরোপা জিতেছে। সেই ইতালিকে এবার গ্রুপ পর্বেই পেয়েছে শক্তিশালী স্পেন। রাত ১টার ম্যাচে যে দল জিতবে তারা কাটবে শেষ ষোলোর টিকিট।
দুই দল উদ্বোধনী ম্যাচ জয়ে শুরু করলেও চরিত্রটা ছিল ভিন্ন রকম। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে স্পেন বিধ্বস্ত করেছে। ইতালি অবশ্য আলবেনিয়ার কাছে টুর্নামেন্টের দ্রুততম গোল (মাত্র ২৩ সেকেন্ড) হজম করেও পরে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তাই গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হলেও ক্ল্যাসিক আরেকটি ম্যাচের আশা স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেরই তারা শিরোপা প্রত্যাশী। স্পেন-ইতালি ম্যাচ সব সময়ই ক্ল্যাসিক। এটা ফাইনালের মতোই রূপ নিতে পারে।’
বড় টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১১বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেই মুখোমুখি টানা পঞ্চমবার! মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য ইতালিরই আধিপত্য। পেনাল্টি শুটআউট বাদে ইউরো আর বিশ্বকপে ১০ ম্যাচে মাত্র একবারই হেরেছে আজ্জুরিরা। সর্বশেষ হারটি ছিল ২০১২ সালের ফাইনালে ৪-০ গোলে।
গত আসরে ইতালি রবের্তো মানচিনির অধীনে ইউরো জিতেছিল। এবার অবশ্য স্পালেত্তির অধীনে খেলতে এসেছে। যিনি সিরি আ’য় নাপোলিকে শিরোপা জিতিয়েছেন ১৯৯০ সালের পর। সাফল্যের এই ধারা তার জাতীয় দলেও ধরে রাখতে চাওয়ার কথা। এই ম্যাচকে তাই ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ইতালি কোচ, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে, যার গল্পটা পরে গর্ব করে বলার মতো হতে পারে।’ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অবশ্য চিরাচরিত রক্ষণাত্মক কৌশল বাদ দিয়ে আক্রমণাত্মক খেলাকেই মূল মন্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। স্পেনও তাই। স্পালেত্তি জানিয়েছেন, সেই ধারা স্পেনের বিপক্ষেও ধরে খেলবে তার দল, ‘আমরা ৯০ মিনিট সেই তীব্রতা ধরে রেখেই খেলবো। গতময়তার সঙ্গেই খেলতে হবে। নাহলে ওরা আমাদের আঘাত করবে।’
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে স্লোভেনিয়া-সার্বিয়া। পরে রাত ১০টায় ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। জয়ে শুরু করা থ্রি লায়ন্সরা আজ জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে শেষ ষোলো নিশ্চিত করবে।