ব্রাজিলের ফুটবল যে উল্টো পথে হাঁটছে তার উজ্জ্বল প্রমাণ এই কোপা আমেরিকা। সর্বশেষ আসরের রানার্স আপ তারা। আগের আসরেরও কোপা চ্যাম্পিয়ন। সেই দলটাই এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিয়েছে খালি হাতে। গত জানুয়ারিতে কোচ দরিভাল জুনিয়রকে দায়িত্ব দেওয়ার পরেও দলটার ভাগ্য বদল হয়নি। সেই ব্যর্থতার পুরো দায়ভার নিচ্ছেন ব্রাজিল কোচ।
১০ দলের উরুগুয়ের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে পরাজয়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন দরিভাল জুনিয়র। তিনি এখন ধৈর্য ধারণকেই মূল অস্ত্র হিসেবে দেখছেন, ‘এই ধরনের কাজে ভীষণ ধৈর্য প্রয়োজন। আমাকে স্বীকার করতেই হবে এমন ফলাফল মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। আমি ছেলেদের ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছি। পাশাপাশি এটাও মনে করি এই দলের আরও উন্নতির প্রয়োজন।’
দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। লাল কার্ড দেখেন নাহিতান নান্দেস। কিন্তু একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধাটাও কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। শুটআউটে এদের মিলিতাও শুরুর শটেই ব্যর্থ হয়েছেন। ডগলাস রুইজ বল মেরেছেন পোস্টে! তাতে মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে খেলা উরুগুয়ের কাছে টানা দ্বিতীয় হার দেখেছে ব্রাজিল।
বিপরীতে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র একটি ম্যাচ জিতে ব্রাজিল বাড়ি ফিরছে। দরিভাল জুনিয়র দল গঠনের মাঝে থাকায় এই ধাক্কাকে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছেন, ‘দেখুন সার্বিকভাবে এটা প্রক্রিয়ার অংশ। দল গঠন করতে গেলে এই ধরনের কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়। এটা আমাদের প্রথম অফিশিয়াল টুর্নামেন্ট ছিল। কিন্তু ফলাফল প্রত্যাশার ধারে কাছেও ছিল না। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করা।’
দায়িত্ব পেয়ে মাত্র ৮টি ম্যাচ পেয়েছেন দরিভাল জুনিয়র। শিষ্যদের ব্যর্থতার জন্য ক্লাবের টানা খেলার ধকলকেও সামনে আনলেন তিনি, ‘দীর্ঘ মৌসুম শেষ করে অনেকে যোগ দিয়েছে। অনেকেই হয়তো এটা বুঝতে পারবে না... আহত একটা দলকে টেনে তুলতে গেলে তখন ফুটবলে অনেক চড়াই-উতরাই থাকে।’