শুরুর দিকে গোল পাচ্ছিল না আবাহনী লিমিটেড। বিরতিটি আগে গোল মুখ উন্মুক্ত হলে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রিমিয়ার লিগে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জোড়া লক্ষ্যভেদে আবাহনী ৪-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে।
শনিবার ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ ইব্রাহিম সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনামুল হোসেন গাজী। পরে ইব্রাহিম নিজের দ্বিতীয় এবং আসাদুল মোল্লার গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় মারুফুল হকের দলের।
লিগের সপ্তম রাউন্ড শেষে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আবাহনী। সাত ম্যাচের সবগুলো জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মোহামেডান। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। আর চট্টগ্রাম আবাহনী সব ম্যাচ হেরে নিচের দিকেই আছে।
প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে আবাহনী প্রথম গোল পায়।। এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে বক্সে ঢুকে যাওয়া ইব্রাহিমকে পায়ে আঘাত করেন ফজলে রাব্বী। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত শটে লিগে ব্যক্তিগত গোলের খাতা খোলেন ইব্রাহিম। আগের ম্যাচে ফেডারেশন কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়েও জালের দেখা পেয়েছিলেন এই ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
আবাহনী লিমিটেড দ্বিতীয়ার্ধেও আগ্রাসী ফুটবল খেলতে থাকে। গোলও আসে তিনটি। দুটি আক্রমণের সুর বেঁধে দেন শাহরিয়ার ইমন; আক্রমণের পূর্ণতা দেন এনামুল ও ইব্রাহিম। ৫২ মিনিটে ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে ওঠা ইমনের ক্রস আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চট্টগ্রাম আবাহনী গোলকিপার মোহাম্মদ নাঈম, কিন্তু ব্যর্থ তিনি। গোল মুখে পাওয়া বল আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন এনামুল।
৬৬ মিনিটে মাঝমাঠের ওপর থেকে রক্ষণ চেরা পাস বাড়ান ইমন। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে দারুণ শটে নাঈমের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইব্রাহিম।
পাঁচ মিনিট পর আরেক গোলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। মিরাজুল ইসলামের কর্নারে কেওয়াসি ডায়মন্ড হেড করলে বল উপরে উঠে যায়; এরপর জটলার মধ্য থেকে মোহাম্মদ হৃদয়ের শট ব্লকড হওয়ার পর বল চলে যায় আসাদুলের পায়ে। একটু আগেই ইমনের বদলি নামা এই মিডফিল্ডার নিচু শটে বল পৌঁছে দেন ঠিকানায়। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর পঞ্চম জয়। তাতেই পয়েন্ট তালিকায় তিন ধাপ উন্নতি।