টানা দুইবারের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল। এছাড়া বয়সভিত্তিক দলের অসংখ্য সাফল্য তো আছেই। দেশের নারীদের খেলাধুলায় এগিয়ে নেওয়ার পেছনে ফুটবল দলের অবদান কম নয়। তাই তো এবার প্রথমবারের মতো একুশে পদকে ভূষিত হতে যাচ্ছে সাফ জয়ী নারী দল। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলারদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নারী দলের কয়জন সদস্য পাবেন এই স্বীকৃতি?
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ক্রীড়া মন্ত্রণালেয়ের মাধ্যমে বাফুফের কাছে তা শুরুতে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কাঠমান্ডুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পুরো টিমের অংশ যেই ৩২ জন ছিলেন, তাদের নাম পাঠায় বাফুফে। কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শুধু ফাইনালে শুরুর একাদশে খেলা ১১ জনকে পুরস্কার দিতে চাইছে।
এনিয়ে এখনও সব পক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা শুরুতে ৩২ জনের তালিকা পাঠালে তা কমিয়ে ১১ জন ফুটবলারের নাম দিতে বলা হয়েছিল। তবে আমরা মনে করি সাফ জেতার পেছনে পুরো টিম কন্টিনজেন্টের অবদান রয়েছে। এখন ১১ জনই তো আর সব ম্যাচের পুরো সময় জুড়ে খেলেনি। সবারই কম বেশি প্রথম ম্যাচ থেকে অবদান আছে। যারা সাইড লাইনে ছিল তাদেরও অবদান কম নয়। কোচ-খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা সবার সম্মিলিত প্রয়াসে সাফল্য এসেছে। তাই আবারও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে তালিকা পাঠিয়েছি।’
বাফুফে, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাঝে যোগাযোগ রাখছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলামের উপলব্ধি, ‘শুরুতে বাফুফে থেকে ৩২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শুধু ফাইনালে যারা খেলেছেন তাদের পদক দিতে চাইছে। মানে ১১জন। মাঝে আমরা বাফুফে থেকে আবারও সব খেলার তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কারণ আন্তর্জাতিক নিয়মে সাফে পুরো একটি দলে ৩২ জন ছিল। সাফের শিরোপা জয়ে সবার অবদান রয়েছে। শুধু ১১ জনকে দিলে তা ঠিক হবে না। এখন দেখা যাক তারা কী অনুমোদন করে।’
জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন অবশ্য এ নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি, ‘আসলে আমাদের কাছে একুশে পদক নিয়ে কেউ কিছু জানতে চায়নি। কিংবা সেভাবে কিছু বলেনি। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আগে জানাক। তারপর হয়তো বলতে পারবো।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন, ‘অভ্রের জন্য মেহেদী সাহেব একা কিন্তু পদক নিতে চাননি। পুরো টিমের জন্য চেয়েছেন। তা সরকার রাজিও হয়েছে। আমার মনে হয় নারী দলের বহর বড় হলে অন্তত কোচ ও খেলোয়াড়দের কথা পদকের জন্য চিন্তা করাই যায়।’