X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলে চিংড়ি চাষ যেন গলার কাঁটা! (ভিডিও)

আবুল হাসান, মোংলা
০১ জুন ২০২১, ০৯:০০আপডেট : ০১ জুন ২০২১, ২০:০৪

সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপকূলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস্য ‘সাদা সোনা’ খ্যাত চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ। মাছ চাষ করেই এ অঞ্চলের ৭০ শতাংশ মানুষের জীবিকা আসে। তবে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি ক্ষতির শিকার হলো মোংলা উপকূলের চিংড়ি চাষীরা।

এর আগের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধাক্কা সামলে না উঠতেই এলো ইয়াস। ভেসে গেছে তিনশ’ হেক্টর মাছের জমি। এসব জমিতে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের ৬৮৫টি খামার রয়েছে। প্রায় সবগুলোই ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঝড়ের আগে প্রচণ্ড তাপদাহে এখানকার চাষীদের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ এমনিতেই মরে গিয়েছিল। এরমধ্যে আবার ইয়াস-এর কারণে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৪৪৫টি, চাঁদপাইয়ে ১৪৪টি ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮৬টিসহ মোট ৬৮৫টি ঘের ভেসে গেছে। এসব খামারে কত কোটি টাকার মাছ ভেসে গেলো তার হিসাব কেবল শুরু করেছি বলে জানান তিনি।

উপকূলে চিংড়ি চাষ যেন গলার কাঁটা! (ভিডিও) বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে কথা হয় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। জয়মনি ঘোলের হরিপদ মন্ডল বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে কয়টা মাছ ছাড়িলাম, সব তলায়া গেছে।’

কাইনমারি এলাকার দিলিপ কুমার বিশ্বাস ও তপন গাইন বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে একদফা মাছ মরে পচে গেলো। এবার ঝড়ে ঘেরের মাছ সব ভেসে গেছে। এখন কী করে বেঁচে থাকবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’

ধারবাহিক দুর্যোগের কারণে চিংড়ি চাষে জড়িত উপজেলার সহস্রাধিক মানুষ এখন দিশেহারা। উপজেলা চেয়ারম্যান ও চিংড়ি ব্যবসায়ী মো. আবু তাহের হাওলাদার বলেন, ‘চিংড়ি চাষের মৌসুমের শুরুতেই প্রান্তিক চাষীরা হোঁচট থেতে শুরু করেন। এপ্রিল-মে মাসে লকডাউনে হ্যাচারিগুলো বন্ধ থাকায় রেণু-পোনার চরম সংকট দেখা দিয়েছিল। এ ছাড়া চাষীরা স্থানীয় প্রাকৃতিক চিংড়ির পোনাও আশানুরূপ পাননি। এখন তো ঘূর্ণিঝড়ে মাছও গেলো, ধানও গেলো।’

উপকূলে চিংড়ি চাষ যেন গলার কাঁটা! (ভিডিও) মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারের উপরের দফতরে পাঠানো হবে। চাষীদের ক্ষতি পোষানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে বুধবার রাত জেগে ঘের পাহাড়া দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। সব জোয়ারের পানিতে চোখের সামনে তলিয়ে যায়। চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন অনেকে। তারাও বলতে পারছেন না কী করে ঋণ শোধ করবেন।



/এফএ/
সম্পর্কিত
পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে দুজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে
ভোরের ঝড়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাড়তে পারে দুপুরে
সর্বশেষ খবর
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী