কুড়িগ্রামের উলিপুরে সোমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ জুন) উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের বাবুপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলছে পুলিশ।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমা ওই গ্রামের মমিনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হাদিরা গ্রামের ফরহাদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মমিনুল হক গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে সোমার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে বিয়ে করেন। সোমা ও মমিনুলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর সোমা অন্তঃসত্ত্বা হলে বাবার বাড়িতে চলে যান।
এ সুযোগে মমিনুল বাড়িতে ফিরে প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগমকে নিয়ে সংসার করতে থাকেন। চার মাস আগে কল্পনাও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বাবার বাড়ি যান। পরে সোমাকে বাড়ি নিয়ে আসেন মমিনুল।
বুধবার সকালে মমিনুলের প্রথম স্ত্রী কল্পনাও বাড়ি আসার কথা ছিল। এ নিয়ে মমিনুলের সঙ্গে সোমার মনোমালিন্য হয়। মঙ্গলবার রাতের কোনও একসময় সোমা পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।